৫০ দিনে ২০ লক্ষের বেশি মিউটেশনের সমস্যা সমাধান বাংলায়
ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর যে পরিসংখ্যান দিয়েছে তাতে বলাই যায়, জমি, বাড়ির মিউটেশনের (Mutation) ক্ষেত্রে বাংলায় (West Bengal) বিপ্লব ঘটে গিয়েছে হালে। এদিন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ১ অগস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বর—এই ৫০ দিনে রাজ্যে ২০ লক্ষ ২৮ হাজার মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমস্যা সমাধান হয়েছে। গত বছরের তুলনায় তিন গুণেরও বেশি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে, গত বছর এই সময়সীমায় ৬ লক্ষ ১৩ হাজার সমস্যার সমাধান হয়েছিল। এবারের যা হিসেব তাতে দেখা যাচ্ছে গড়ে প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার সমস্যার সমাধান হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল, এই বিপুল সংখ্যক মিউটেশনের সমস্যা সমাধান কী ভাবে সম্ভব হল? রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ব্লক দফতর ছাড়াও মহকুমা ও জেলা দফতরেও এই সমস্যা সমাধানের কাজ চলেছে। সেইসঙ্গে রয়েছে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প। সেই ক্যাম্পেও বড় অংশের মানুষ মিউটেশন সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য হাজির হয়েছিলেন। এবং তাঁর সমাধান করা গিয়েছে বলে দাবি নবান্নের। জমি বা বাড়ির ক্ষেত্রে মিউটেশন একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। অনেক সময়ে দেখা যায় জমি বা বাড়ির রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলেও মিউটেশন হয়নি। ফলে বর্তমান মালিককে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। অনেকে এ ব্যাপারে ওয়াকিবহালই থাকেন না। বালি ব্রিজের পাশে যে নিবেদিতা সেতু তৈরি হয়েছে, তা নির্মাণের সময়ে অনেক জমি অধিগ্রহণ করেছিল কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। সেখানে তো আর ফাঁকা জমি ছিল না। লাইন দিয়ে বাড়ি ভাঙতে হয়েছিল।
শ্রীকৃষ্ণ সিনেমা হলের পাশেই ছিল বিমল হালদারের বাড়ি। তাঁর বাড়ির কাগজপত্র নিয়ে তাঁকেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল, সব রয়েছে কিন্তু তাঁর মিউটেশন নেই। সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে বিমলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে আমার ঘুম উড়ে গিয়েছিল। একদিকে সরকার জমি নেবে। অর্থাত্ বাবার তৈরি বাড়িটা চলে যাবে। সেই কষ্টের মধ্যেই বিড়ম্বনা বাড়ায় মিউটেশন না থাকা। একটা সময় মনে হয়েছিল পথে বসতে হবে। তখনও বালি পুরসভা হাওড়া কর্পোরেশনের সঙ্গে জুড়ে যায়নি। তত্কালীন চেয়ারম্যান প্রদীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানাতে তিনি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আমাদের এলাকার অন্তত ২৫টি পরিবারের ক্ষেত্রে এই সমস্যা ছিল।’ তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে মিউটেশনের সমস্যা সমাধান করার তা প্রশংসনীয়।’