উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

সুখবর! উত্তরবঙ্গে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে শিশু ভর্তির সংখ্যা কমছে

September 20, 2021 | 2 min read

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশু ভর্তির সংখ্যা কমছে। গত ২৪ ঘন্টায় পাঁচজন শিশু এই হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রেফার হয়ে আসা।  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ মধুমিতা নন্দী এই তথ্য দিয়ে বলেন,  এ সময়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের  কারণে প্রতি বছরই জ্বর, সর্দি-কাশিতে শিশুরা আক্রান্ত হয়। বিগত বছরগুলিতে এই মরশুমে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একদিনে ২৫ থেকে ৩০ জন শিশু ভর্তির ঘটনাও ঘটেছে। সেই তুলনায় এবার এখনও পর্যন্ত  ভর্তির সংখ্যা কিছুই নয়।  এই মেডিক্যাল কলেজ উত্তরবঙ্গের অন্যতম রেফারেল সেন্টার। তাই এখানে ভর্তির সংখ্যা কম হওয়ার অর্থ  উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জায়গাতেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে এদিন পর্যন্ত জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে যত জন শিশু ভর্তি হয়েছে, তাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে। আসলে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরুর পর এবারও বিভিন্ন জায়গায় শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে থাকে। এবার অভিভাবক তথা সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। আর তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের বেশি সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। একারণেই শিশুরা জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে শুরু হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন, আমাদের এখানে জ্বর, সর্দি- কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শিশুদের কারও নমুনায় করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। 

 উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, শিশুদের এখন যে জ্বর হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিবছরই এসময় শিশুদের এ ধরনের জ্বর, সর্দি- কাশি হয়। এতদিন এ ধরনের জ্বরে বাড়িতে রেখেই পরিচিত চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের চিকিৎসা করাতেন। তাতে শিশুটি সুস্থ হয়েও উঠত। কিন্তু এবার  করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই কেউ আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ফলে সকলেই হাসপাতলে আসছেন। এতদিন এই সময়ে যে শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে এবং এবার যারা আক্রান্ত হচ্ছে, তার মধ্যে কোনও নতুনত্ব  বা উদ্বেগের কোনও বিষয় নেই। এ প্রসঙ্গে ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন, এতদিন আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে ভাইরাস চিহ্নিতকরণের বিষয়টি আসেনি। সাধারণভাবে গ্রুপ অব ভাইরাস হিসেবে চিকিৎসা হয়েছে। তাতে আক্রান্ত শিশু সুস্থ হয়েও উঠেছে। এবার যেহেতু পরিস্থিতি অন্যরকম সেকারণেই আলাদা আলাদা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে সেই সুযোগ রয়েছে। তাতে আরএস ভাইরাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, এ ধরনের প্রত্যেকটি ভাইরাসের সংক্রমণ আলাদাভাবে চিহ্নিত হচ্ছে।  অনেক ক্ষেত্রে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের রক্তে প্লেটলেট কমে যাচ্ছে। কিন্তু ডেঙ্গুও ধরা পড়ছে না। ডাঃ মধুমিতা নন্দী বলেন,  প্লেটলেট কমেছে বলে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর হলে প্লেটলেট কিছুটা কমে যায়।  উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডা: সঞ্জয় মল্লিক জানিয়েছেন,  উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। তবে আমরা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আগে থেকেই তৈরি রয়েছি

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#fever, #children, #North Bengal

আরো দেখুন