গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণ চলছে জোরকদমে, শহরের তুলনায় ৫০ লক্ষ বেশি
বর্তমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাখির চোখ ছিল গ্রামীণ এলাকায় টিকাকরণ। সাফল্যের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার টিকাকরণ পর্ব এগিয়ে নিয়ে চলেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের শহরাঞ্চলে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে এক কোটি ৮৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৮৩টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। সেখানে গ্রামাঞ্চলের মানুষ পেয়েছেন প্রায় ৫০ লাখ বেশি ডোজ, অর্থাৎ মোট দু’কোটি ৩২ লক্ষ ১৫ হাজার ৭২৭ ডোজ। বর্তমানে রাজ্যে যে টিকাকরণ হচ্ছে, তার ৭৫ শতাংশই হচ্ছে গ্রামে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন রাজ্য হেলথ ডায়রেক্টরেটে টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার। তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত গ্রাম ও শহরাঞ্চলের টিকাদানের হিসেব এখনও কেন্দ্র পাঠায়নি। আমরা চেষ্টা করছি, জেলাগুলির কাছ থেকে পরিসংখ্যান নিয়ে সেই হিসেবটা পূর্ণ করতে। তাহলে চিত্রটি আরও স্পষ্ট হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, সোমবার রাত সওয়া আটটা পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, রাজ্য গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে আট লক্ষের বেশি টিকাদান করেছে। ফলে দু’টি ডোজ মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট টিকাকরণ হয়েছে পাঁচ কোটি ১৭ লক্ষের কিছু বেশি। জেলাগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি টিকাকরণ হয়েছে কলকাতায়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হুগলি। তবে মঙ্গলবার দিনভর তুমুল বৃষ্টির জন্য কলকাতায় টিকাদান প্রক্রিয়া খুবই ব্যাহত হয়েছে। এদিন দৈনিক টিকাকরণে কলকাতাকে অনেক পিছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে রাত সওয়া আটটা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে এদিন এক লক্ষ ২৫ হাজার ৭৯১ ডোজ টিকাদান হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা । সেখানে টিকাদান হয়েছে এক লক্ষ ১০ হাজার ৯৬৫ ডোজ। অথচ টিকাদানের পরিকাঠামো অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও কলকাতায় বৃষ্টির কারণে ভ্যাকসিনেশন হয়েছে মাত্র ৩৮ হাজার ৩৬৬ ডোজ। এদিন জানা গিয়েছে, আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। রাজ্যের প্রায় চার হাজার করোনা টিকাদান কেন্দ্র বা সিভিসি’র মধ্যে এখনও পর্যন্ত এককভাবে সবচেয়ে বেশি টিকাদান করেছে পিজি হাসপাতালের করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র।