‘খুন হওয়া ব্যক্তি বেঁচে আছেন’ সুপ্রিম কোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সওয়াল রাজ্যের
‘খুন হওয়া ব্যক্তি বেঁচে আছেন কীভাবে!’ পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই মর্মেই প্রশ্ন তুলল রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে কপিল সিবালের এই সওয়ালে স্বভাবতই বিপাকে পড়েছে বিরোধীরা। এখানেই শেষ নয়। শীর্ষ আদালতে সিবালের কটাক্ষ, ‘কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই রাজ্যে যে তদন্ত করছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। তাই সংঘর্ষের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই এখন ডাকাতির মামলারও তদন্ত করছে।’
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দায়ের করা এই মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সহ মোট ৪২ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি বিনীত শরণ এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চে এদিন শুনানি ছিল। সেখানে তথ্য তুলে ধরে সিবাল বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছিল খুন হয়েছেন এক ব্যক্তি। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে তিনি জীবিত। তাহলেই বুঝুন! সাধারণত রাজ্য পুলিসের তদন্ত যখন ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে, তখনই আদালত সিবিআইকে তদন্ত করতে দেয়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রায় গোড়াতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তাই আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, সিবিআই তদন্ত হয় বন্ধ করা হোক, নয়তো তাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
যদিও শীর্ষ আদালত এদিন এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেয়নি। বরং বিচারপতি বিনীত শরণ রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘আপনার সওয়াল করতে কত সময় লাগবে?’ উত্তরে সিবাল বলেন, ‘কমপক্ষে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।’ তখনই সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘ঠিক আছে, আগামী ২৮ তারিখ তাহলে বিস্তারিত শুনব। তার মধ্যে যদি বাদী-বিবাদী পক্ষের কারও কিছু বলার থাকে, তাহলে আগামী শুক্রবার ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে জমা করে দেবেন।’ আদালতে বিবাদী পক্ষের কয়েকজনের হয়ে সওয়াল করতে ভার্চুয়াল শুনানিতে এদিন হাজির ছিলেন আইনজীবী হরিশ সালভে এবং মহেশ জেঠমালানি। যদিও তাঁরা বলার সুযোগ পাননি। তবে আগামী ২৮ তারিখ বিস্তারিত শুনানিতে তাঁরা রাজি হয়েছেন।