সুকান্তর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে গরহাজির শুভেন্দু
চেয়ারে বসেই দিলীপ ঘোষের গরুর দুধে সোনা তত্ত্বে সীলমোহর দিয়েছেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার তার সঙ্গেই তৃণমূলকে তালিবান বলেও দাগিয়ে দিলেন তিনি। মাত্র ৪১ বছর বয়সেই বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর বসেই তাঁর দাবি, তৃণমূল এই রাজ্যে তালিবানি জমানা শুরু করেছে। দলের জাতীয় ইতিহাসে দিলীপ ঘোষের মতো সফল সভাপতি আর হয়নি বলেও মন্তব্য় করেছেন তিনি।
আরএসএস ঘনিষ্ট সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাট লোকসভা আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি দলেরও রাজ্য সভাপতি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে রাজ্য সভাপতির পদে বসেই আস্তিনে লুকিয়ে রাখা সেই হিন্দু তাসটা খেলে দিলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘দলের বহু হিন্দু সমর্থককে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী খুন করে ফেলেছে। তবে তিনি কোনও গোষ্ঠীর নাম করেননি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক হানাহানি বাংলার সংস্কৃতি নয়, তবে এই প্রবনতা নতুন নয়। বিজেপির অন্দরের সংখ্যালঘু সদস্যদের উপরেও হামলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার বুদ্ধিজীবীরা এনিয়ে একটা শব্দও বলছেন না। তাঁরা সন্ধ্যায় শ্যাম্পেন নিয়ে বসতে ভালোবাসেন। কিছু মানুষ বন্দুক নিয়ে ঘুরছে এটাই তালিবানি নয়। যখন অন্য মতবাদে বিশ্বাসীদের খুন করা হয় সেটাও তালিবানি।’
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি মসজিদে গিয়েছিলেন। ইসলাম একজন মহিলাকে মসজিদে প্রবেশকে মান্যতা দেয় না।’ তবে রাজ্য ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সুকান্তর দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন দলের তাবড় নেতাদের দেখা গেলেও শুভেন্দু অধিকারীকে সুকান্তর কলকাতার সাংবাদিক সম্মেলনে দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে রাজ্য সভাপতির দাবি শুভেন্দু অধিকারী জঙ্গিপুরে প্রচারে ব্যস্ত আছেন।