ভবানীপুরে কোভিডবিধি না মেনে প্রচার বিজেপির, পুলিশের সাথে বচসাও
উপনির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত ভবানীপুর (Bhabanipur By-Election)। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ডিসি সাউথের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোরও।
সোমবার রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে বদল হয়। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) স্থলাভিষিক্ত হন সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার সকালে ভবানীপুরের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে প্রচারে বেরোন সুকান্ত মজুমদার। মিত্র ইনস্টিটিউশন থেকে শুরু হয় প্রচার। বাড়ি বাড়ি ঘোরেন তিনি।
হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মুখে বিজেপি কর্মীদের আটকায় পুলিশ। সেই সময় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ছাড়াও ছিলেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ এবং বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি ডিসি সাউথের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এত লোক নিয়ে প্রচারে কেন, প্রশ্ন তোলেন ডিসি সাউথ আকাশ মাঘারিয়া। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট হাই সিকিউরিটি জোন, সেখানে এত লোক নিয়ে ঢোকা যাবে না বলেই জানান তিনি।
পুলিশের আচরণে ক্ষুব্ধ সুকান্ত মজুমদার, জ্যোর্তিময় সিং মাহাতো এবং প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রিয়াঙ্কা। এদিকে, ভবানীপুর জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী সুকান্ত। তিনি বলেন, “বিজেপির সঙ্গে মানুষ আছে। মোদির বিকল্প কেউ নেই।” ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারে কেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। সে বিষয়েও মুখ খোলেন তিনি। নয়া বিজেপি রাজ্য সভাপতি জানান, “ভবানীপুরের প্রচারে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরাও আসবেন। তাঁরা তারকা প্রচারক।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীও এদিন প্রচার করেন ভবানীপুর কেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “কলকাতার সঙ্গে তাঁর পুরনো সম্পর্ক। রাজনৈতিক জীবন এখানে শুরু করেছেন।”