আইপিএল-এ রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে পঞ্জাবকে ২ রানে হারাল রাজস্থান
আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে প্রথম ম্যাচে লড়াই তেমন জমেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্স উড়িয়ে দিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। তৃতীয় ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। খেলা গড়াল শেষ বল পর্যন্ত। রাজস্থান রয়্যালস ২ রানে হারাল পঞ্জাব কিংসকে।
টস জিতে পঞ্জাব অধিনায়ক কেএল রাহুল রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান। প্রথমে রাজস্থান ২০ ওভারে ১৮৫ রান তোলে। জবাবে পঞ্জাব ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৩ রানে থামে।
ম্যাচের শেষ ওভারে পঞ্জাবের জেতার জন্য দরকার ছিল ৪ রান, হাতে ছিল ৮ উইকেট। ক্রিজে জমে যাওয়া এইডেন মারক্রাম এবং নিকোলাস পুরান ছিলেন। ফলে পঞ্জাবের জেতার দিকেই পাল্লা ভারি ছিল। কিন্তু কার্তিক ত্যাগী জিতিয়ে দেন রাজস্থানকে।
শেষ ওভারের প্রথম বলটি ফুল টস ছিল। কিন্তু মারক্রামের শট কভার ফিল্ডারকে টপকাতে পারেনি। ওই বলে কোনও রান হয়নি। পরের বলটিও অফ স্টাম্পে ফুল টস ছিল। মারক্রাম মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারতে যান। কিন্তু ব্যাটের ভিতরের দিকে লেগে বল ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়্যার লেগে যায়। এক রান হওয়ায় স্ট্রাইকে আসেন পুরান। ত্যাগীর বল থার্ডম্যানে পাঠাতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পুরান। চতুর্থ বলে দীপক হুডা ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। চাপ বাড়তে থাকে পাঞ্জাবের উপর। পঞ্চম বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হুডা। শেষ বলে ফ্যাবিয়ান অ্যালেন বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি।
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে ভারতকে বেশ কিছু ম্যাচ জেতানো হুডা শেষ ওভারে পাঁচটি ডট বল করেন এবং ২টি উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হন।
প্রথম দুটি ম্যাচ কম রানে হওয়ার পর এই ম্যাচে ৩৬০-এর উপর রান হল। রাজস্থানের হয়ে দুই ওপেনার যশস্বী জয়েসওয়াল এবং এভিন লুইস ভাল রান পান। যশস্বী ৩৬ বলে ৪৯ রান করেন। তিনি ৬টি চার, ২টি ছয় মারেন। লুইস করেন ২১ বলে ৩৬। তিনি ৭টি চার, ১টি ছয় মারেন। রাজস্থানকে বড় রানে পৌঁছে দেওয়ার মূল কৃতিত্ব মহিপাল লোমরোরের। তিনি ১৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস না খেললে রাজস্থান ১৮০-র উপর রান করতে পারত না। তাঁর ইনিংসে ২টি চার, ৪টি ছয় রয়েছে।
পঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সবথেকে সফল অর্শদীপ সিংহ। তিনি ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন। বাংলার দুই জোরে বোলার মহম্মদ শামি এবং ইশান পোড়েল পঞ্জাবের হয়ে বোলিং শুরু করেন। শামি ৩ উইকেট এবং আইপিএল-এ অভিষেক ম্যাচে ইশান ১ উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে পঞ্জাবকে দেখে কোনও সময়ই মনে হয়নি, তারা ম্যাচ হারতে পারে। ওপেনিংয়ে ১২০ রান তুলে ফেলেন রাহুল এবং ময়াঙ্ক আগারওয়াল। রাহুল ৩৩ বলে ৪৯ এবং ময়াঙ্ক ৪৩ বলে ৬৭ রান করেন।
কিন্তু সেটি পঞ্জাবের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাদের পরের ম্যাচ শনিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। রাজস্থান ওই দিনই মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের।