কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

ভবানীপুর বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে মমতা

September 22, 2021 | 5 min read

বিধানসভার ভোটে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’, স্লোগানে ভর করে রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বার ভবানীপুর উপনির্বাচনকে ঘিরেও তৈরি হয়েছে নতুন স্লোগান। ‘উন্নয়ন ঘরে ঘরে, ঘরের মেয়ে ভবানীপুরে’, ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য এই স্লোগানকে হাতিয়ার করছে তৃণমূল।

উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে ভবানীপুর বিধানসভায়। দেওয়ালে, রাস্তার মোড়ে হোর্ডিং, ফ্লেক্স ও  সামাজিক মাধ্যমে এই স্লোগানটি দিয়ে জোর প্রচার শুরু হয়েছে। ছোট ছোট হোর্ডিং তৈরি করেও ভবানীপুর এলাকাজুড়ে প্রচার অবশ্য শুরু হয়েছিল বেশ কয়েকদিন আগেই। আজ ভবানীপুর বিধানসভায় নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

লাইভ আপডেট

 

৬ঃ৫০ঃ উত্তরপ্রদেশে মানুষ মারা গেছে। সংখ্যা দেখাবে না বলে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছে। আমরা তাদের শেষ কৃত্য করেছি। কেউ মারা গেলে আমরা ২০০০ টাকা করে দিই। হাথরাস, ত্রিপুরায় ঢুকতে দিল না। আমরা বাংলায় সবাইকে ঢুকতে দিই। আমরা তোমাদের ভয় পাই না। দানবিক সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে লড়াই চলছে। সেই লড়াই চলবে যতদিন না এই অত্যাচারি সরকারকে সরাতে না পারছি। এই ভোটের পর আমরা অন্যান্য রাজ্যে ঝাঁপাব।

৬ঃ৪৮ঃ মা দুর্গাকে ১৪৪ ধারা করতে যেও না। মা পাপ দেবেন। গ্যাসের দাম ১০০০ টাকা। সেই মন্ত্রী ভবানীপুরে প্রচার করতে এসেছেন। বলুন গ্যাসটা বিনে পয়সায় দিয়ে ভোট চেও। ওরা এনআরসি করে মানুষকে ভাগ করা ছাড়া আর কী করেছে?

৬ঃ৪৬ঃ ত্রিপুরায় একটা মিছিল মিটিং করতে যাচ্ছে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছে, গাড়ি ভেঙে দিচ্ছে, এফআইআর করে দিচ্ছে, ১৪৪ ধারা জারি করে দিচ্ছে। ওরা যে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গা পুজো করতে দেয় না। নভেম্বর অবধি ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা চললে দুর্গা পুজো কী করে হবে? ঝোলা থেকে বেড়াল বেরিয়ে গেছে। 

৬ঃ৪৪ঃ কোন ভুল ভ্রান্তি হলে সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। ভবানীপুরেও বহিরাগতরা এসে ভোট করছে। বাংলার ভোটে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করল। ওরা জিততে পারে নি।

৬ঃ৪২ঃ প্রতিটা ভোট খুব জরুরী। বিজেপি নানা রকম চক্রান্ত করছে। কোথায় দাঙ্গা লাগাবে, কোথায় মেয়েদের ওপর অত্যাচার করবে। নিজের ভোটটা দেবেন, নষ্ট করবেন না। সেদিন ছুটিও পাবেন। আপনাদের একটি ভোট আমার কাছে আশীর্বাদ।

৬ঃ৪০ঃ আগে অল্প করে নম্বর দিত। আমি বলেছি আমাদের ছেলে মেয়েদের দেশে প্রতিযোগীতা করতে হবে। আমি বলে দিয়েছি সবাইকে ভালো নম্বর দিতে হবে। আপনারা সবাই আমার আপন জন। বাবা মারা যেমন চিন্তা করে আমরাও করি।

৬ঃ৩৭ঃ আমরা ছেলেবেলায় অনেক কষ্ট করেছি। এখন যারা স্কুলে পড়ে তারা স্কুলের জামা, জুতো, ব্যাগ, বই, মিড ডে মিল পায়। ১২ ক্লাসের ছেলে মেয়েদের ট্যাব কেনার জন্যে ১০ হাজার টাকা করে দিই। নাইনে উঠলে সাইকেল পায়। ১ কোটি ২০ লক্ষ সাইকেল দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিনে আরও ৩ লক্ষ দেওয়া হয়েছে।

৬ঃ৩৫ঃ কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রীর, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দিই, বিয়ের জন্যে রূপশ্রী দিই। জেনারেল কাস্টের ছেলেরাও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা পাবে।

৬ঃ৩৪ঃ দিল্লির সাথে আমাদের পার্থক্য ওরা টাকা আটকে দেয়। আমরা মানুষের হাতে টাকা দিই। কারণ মানুষকে টাকা দিলে তা বাজারে ঘোরে। মানুষে উপকার হয়। এটা ওরা জানে না।

৬ঃ৩০ঃ ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী বলেছি ৫ বছরে করে দেব। অমিত দা বলেছিলেন ৫ বছরে ৫০ হাজার পুকুর কাটার কথা বলেছিলেন। আমরা সাড়ে তিন লক্ষ পুকুর কেটেছি। বন্যার জল সেখানে যাচ্ছে। যখন জল থাকে না সেই জল চাষে ব্যভার করা হয়। মাছের চাষও হচ্ছে। আগে মুরগির পোলট্রি হত। আমি বলেছি হাঁসের পোলট্রি বানাও। এই ব্যবসাগুলো ছোট নয়। সরকার এর জন্যে ইন্টেন্সিভ দেয়। বিনে পয়সায় হাঁস, মুরগির বাচ্চা, জাল, গরু সব দেয়। 

৬ঃ২৬ঃ ভোটের আগে চারটে কাজ করব বলেছিলাম। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া, দুয়ারে রেশন। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হয়ে গেছে। কথা রেখেছি। কৃষকরাও টাকা পেতে শুরু করেছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ফিলাপ হচ্ছে। যে জায়গায় উপনির্বাচন হচ্ছে সেখানে ক্যাম্প করা যায়নি। পরে করে দেব। দুয়ারে রেশনে একটু সময় লাগবে। পাইলট প্রজেক্ট। সেটা নিইয়ে ভাবা হচ্ছে। এর জন্যে আমরা কিছু গাড়িও কিনে দেব।

৬ঃ২৫ঃ চাকরিতে জেনারাল কাস্টের জন্যে ৪০ বছর করে দিয়েছি। ওবিসিদের ৪৩ বছর।

৬ঃ২২ঃ সব রাস্তায় রাস্তায় পে এন্ড ইউজ টয়লেট করে দিয়েছি। সারা বাংলায় ৩০ কিলোমিটার অন্তর পথসাথী করে দিয়েছি। কর্মতীর্থ করে দিয়েছি অনেক। এখনও ১১ হাজার রুম খালি আছে। চ্যুক্তিভিত্তিক প্রচুর লোক নেওয়া হয়। সরকারি চাকরির সাথে তার কোন পার্থক্য নেই। তারাও ৬০ বছর অবধি চাকরি করতে পারবে। ৬০ বছর পর তারা তিন লক্ষ টাকা পাবে। তিন বছর পর পর টাকা বাড়বে। 

৬ঃ১৮ঃ আগামী ১০০ বছরের ছেলে মেয়েদের জন্যে দেওচা পাচমীতে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কোল মাইন করে দিয়ে যাচ্ছি। ১০০ বছর কয়লার অভাব হবে না। বিদ্যুৎ ও সস্তা হয়ে যাবে। বাংলার দুটি বন্দর। কলকাতা পোর্ট শুকিয়ে গেছে। হলদিয়া পোর্টে চুরি হচ্ছে। তাজপুরে আমরা বন্দর করছি। অন্ডালে গ্রীন এয়ারপোর্ট করে দিয়েছি। সেখান থেকেও আমরা চাই আগামীতে আন্তর্জাতিক বিমান চলিক। কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদায় এয়ারপোর্ট হচ্ছে।

৬ঃ১৭ঃ জল জমে আছে যেখানে সেখানে অনেক সময় ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ রাখতে হয়। নইলে মানুষ বিদ্যুৎ পৃষ্ট হতে পারেন। জীবনের দাম অনেক বেশি।

৬ঃ১৫ঃ আগে যা খাটতাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে খাটতে হয়। দুর্গা পুজোয় আপনারা যখন আনন্দ করেন আমাকে ফোনের কাছে থাকতে হয় গন্ডগোল হচ্ছে কি না। ঝড়- বৃষ্টি হলে শুধু আপনাদের কষ্ট হয় না। আমাদেরও হয়। আমি ববিকে বারবার ফোন করি।

৬ঃ১৪ঃ আমি এই ১০ বছরে যে টাকা নিইনি তার পরিমাণ আড়াই- তিন কোটি। আমি সরকারকে দিয়ে দিয়েছি। এরা আমাদের পেছনে সিবিআই, ইডি লাগায়। আমাদের বাবা-মা, শিক্ষকরা অন্যায় করতে শেখায় নি।

৬ঃ১১ঃ আমি ১ লক্ষ টাকা সাংসদ পেনশন পাই। এক পয়সা নিইনি ১০ বছরে। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কখনও মাইনে নিইনা। আমি গাড়ি নিইনা। যে গাড়িটা চড়ি সেটা দলের। আমি কোন সার্কিট হাউসে গেলে নিজের পয়সা দিয়ে থাকি। খাবারটাও নিজের পয়সায় কিনি। বইয়ের রয়্যালটি পাই। আর গানে সুর, কথা দিয়ে যা পাই তাতেই আমার চলে যায়। 

৬ঃ১০ঃ ৩০ বছর লড়াই করেছি সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে। যেদিন থেকে নরেন্দ্র মোদীরা এসেছেন সেদিন থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। দানবিক পার্টি। 

৬ঃ০৮ঃ এবার নির্বাচনে নমিনেশন ফাইলের দিন আমার পায়ে চোট লাগানো হল। ডাক্তাররা বলেছিল আপনি বেরোতে পারবেন না। আমার মনে জেদ। পুলিশদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমাকে হুইল চেয়ারে ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেত। আমি সেদিন মারাও যেতে পারতাম।

৬ঃ০৭ঃ ২১ জুলাই যখন আমাকে মারল আমার শরীরের দুটি পার্টস বাদ হয়ে গিয়েছিল। আমি জানতে দিইনি কোনদিন। পর পর মার খেয়েছি। আমি জীবন্ত লাশ বলতে পারেন।

৬ঃ০৪ঃ কৃষক আন্দোলনের জন্যে আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। আমার বাঁচার কথাই ছিল না। সিপিএম মাথায় মেরেছিল অপারেশন হয়েছে। গার্ডেনরিচে গুলি করে হত্যা করতে গেছিল একটি ছেলে হাত তুলে দিয়েছিল গুলি তার হাত দিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি বেঁচে যাই। কাঁচ ঢুকে আমার চোখ নষ্ট হয়ে গেছিল প্রায়। 

৬ঃ০১ঃ আমি বাইরে গিয়েও মন খারাপ হত। কিন্তু মানুষ চেয়েছিলেন। আগে লকআপে মানুষ মারা যেতেন। আমি ১৯৯৩ সালে ২১ দিন মানবাধিকার ধর্না দিয়েছিলাম। তারপরেই মানবাধিকার কমিশন বাংলায় তৈরি হয়েছিল। এখন যে লকআপে মানুষ মারা গেলে পরিবার ক্ষতিপূরণ পায় সেটা আমার আন্দোলনের জন্যে।

৫ঃ৫৮ঃ আমি আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।  দক্ষিণ কলকাতাই তৃণমূলের জন্মস্থান। আমি এখান থেকে দুবার বিধায়ক হয়েছি। ২০১১ -তে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। তারই আবার পুনরাবৃত্তি হল। এটা হয়ত ঈশ্বরের ইচ্ছে ছিল। ভবানীপুরের মা- বোনেদের ইচ্ছে ছিল। এটাই ভাগ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী হোক। 

৫ঃ৫৫ মা চেয়েছিলেন আমি এখান থেকে দাঁড়াই। মা আমাকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন। তারপরেই আমাকে হাজরাতে পেটালো। আমার ভোটে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি ছিল না। আমি দক্ষিণ কলকাতা থেকে যতবার দাঁড়িয়েছি আপনারা আমাকে সমর্থন করেছেন। ৭ বার সাংসদ হয়েছি। এরমধ্যে ৬ বারই দক্ষিণ কলকাতা থেকে দাঁড়িয়েছি। 

৫ঃ৫৩ আলিপুরের আসে পাশেই সরকারি অফিসাররা থাকেন। আমিও থাকি। আপনাদের কাছেই সত্যি অর্থে দুয়ারে সরকার।  এখান থেকে পাঁচ মিনিট দূরেই আমার বাড়ি। এইখান থেকেই আমি রাজিনীতির যাত্রা শুরু করেছি। 

৫ঃ৫১ঃ আমি চেতলায় সৌজন্য বিল্ডিং করেছি। দেশ- বিদেশের বিখ্যাত রাষ্ট্রপতিরা এসে ওখানে থাকবেন। আপনারা জানেন না আমি চেতলায় ধন ধান্যে স্টেডিয়াম করে দিয়েছি। তার পাশেই রয়েছে উত্তীর্ন। নবান্ন, উপান্ন, একান্ন, সৌজন্য সব নাম মিলিয়ে করেছি।

৫ঃ৪৮ঃ আলিপুর সার্বজনীন কি ভালো পুজো করে! চেতলার যে পুজো হয় তার মধ্যে কোলাহল গোষ্ঠীও আছে। চেতলায় কালারফুল পুজো হয়। অকাল বোধন নিজেদের পুজো সেটাও সুন্দর করে। জেলে পাড়া থেকে, গোপালনগর সব জায়গায় আমি যাই। ৭৪ এবং ৮২ নম্বর ওয়ার্ড।

৫ঃ৪৫ঃ নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাবে আমি বার বার গিয়ে জিজ্ঞেস করি নেতাজি কে মালা দিয়েছিস তো! উদ্বোধনের সময় যাতে ভুলে না যায়। আপনাদের পাড়ায় ববির পুজো হয় আপনারা জানেন। অরূপের পুজো যেমন পাল্লা দেয় দুর্গা পুজোয় ববির পুজোও পাল্লা কম দেয় না। অনেক মানুষকে তারা টানে। চেতলায় যে বড় বড় পুজো পুজো হয় তার নিশানা ওরা রাখে। 

৫ঃ৪৩ঃ পুজো এসে গেছে। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাঁশ পড়তেও শুরু করেছে। আমি প্রতি পাড়ায় পাড়ায় ঘুরি। আমার একটা নাড়ু বাড়ি আছে আমার জন্যে নাড়ু বানিয়ে রাখে। সেখানে না গেলে তারা দুঃখ পায়। সেই নাড়ু আমি সুব্রত বক্সিকে দিই। সে নাড়ু খেতে ভালোবাসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Mamata Banerjee, #Bhabanipur Bypoll

আরো দেখুন