পিএম কেয়ারর্স-ফান্ড ভারত সরকারের সম্পত্তি নয়: দিল্লি হাইকোর্ট
পিএম কেয়ার্স ফান্ডের (pm cares fund) তহবিল ভারত সরকারের (government of india) নয় এবং তার অর্থ কনসলিডেটেড ফান্ড অব ইন্ডিয়ায় পড়ে না। দিল্লি হাইকোর্টকে (delhi high court) একথা জানানো হল। ওই ফান্ডকে তথ্য জানার অধিকার আইনের (right to information act) আওতায় পাবলিক অথরিটি বা সরকারি হিসাবে নিয়ে আসা যাবে না, এও জানিয়েছে কেন্দ্র (centre)। আইনের আওতায় ওই ফান্ড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বলে স্বীকৃত।
পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় সরকারি বলে ঘোষণার আর্জি জানিয়ে একটি পিটিশন পেশ হয়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গড়েছেন, তার ট্রাস্টি হলেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রীর মতো লোকজন। কিন্তু সেই ফান্ডের ওপর কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানানো হয়েছে। এতে দেশবাসী ক্ষুব্ধ। জনৈক সম্যক গাঙ্গওয়ালের দাখিল করা পিটিশনে বলা হয়েছে, ২০২০ র মার্চে প্রধানমন্ত্রী কোভিড ১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত দেশবাসীকে সাহায্য করার মতো মহান উদ্দেশ্য নিয়ে পিএম কেয়ার্স ফান্ড গঠন করেন এবং তাতে বিপুল পরিমাণ ডোনেশনও জমা পড়ে। কিন্তু ২০২০র ডিসেম্বর পিএম কেয়ার্স ফান্ডের ওয়েবসাইটে ট্রাস্ট ডিডের একটি কপি পোস্ট করা হয়, যাতে বলা হয়েছে, ওই ফান্ড সংবিধান বা সংসদে পাশ হওয়া কোনও আইনের আওতায় গঠিত হয়নি। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, সমাজকর্মীরাও ফান্ডে জমা পড়া ডোনেশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এহেন পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) আন্ডার সেক্রেটারি প্রদীপ কুমার শ্রীবাস্তব জবাব দিয়েছেন, ওই ট্রাস্ট ‘সরকারি’ বা সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদের আওতায় অথরিটি বা তথ্য জানার অধিকার আইনের ২ (এইচ) ধারা, ৮ ধারা, সাব সেকশন ই ও জে-র আওতায় পাবলিক অথরিটি-যা-ই হোক না কেন, তৃতীয় পক্ষের কোনও তথ্য প্রকাশের অনুমতি নেই। তিনি আরও বলেন, ট্রাস্টে সাম্মানিক ভিত্তিতে তিনি কাজ করেন, ট্রাস্ট স্বচ্ছতা বজায় রেখেই চলে, একজন অডিটর তার তহবিল পরীক্ষা করেন, যিনি পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, যাঁকে বাছাই করা হয়েছে কম্প্রোটোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের তৈরি প্যানেল থেকে। স্বচ্ছতার স্বার্থে অডিট করা রিপোর্ট ট্রাস্টের সরকারি ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। তাতে ট্রাস্টে জমা পড়া তহবিল কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য থাকে। ট্রাস্ট যাবতীয় ডোনেশন অনলাইন পেমেন্ট, চেক বা ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে নেয়। যে অঙ্ক জমা পড়ে, তার অডিট হয়, ট্রাস্টের ফান্ডের খরচের হিসাবেও ওয়েবসাইটে থাকে।