পুজোর পর কলেজ খোলার ভাবনা রাজ্য সরকারের, পড়ুয়াদের দ্রুত টিকাকরণে জোর
কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই সেখানকার পড়ুয়াদের টিকা প্রদানের আওতায় আনতে হবে। এ বিষয়ে বুধবার সব জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরেও এই নির্দেশিকা পাঠাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
পুজোর পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে গ্লোবাল অ্যাডভাইজ়রি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান শীঘ্রই স্কুল- কলেজ খোলা প্রয়োজন। ছাত্র ও শিক্ষক মহলও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়টিতে জোর দেওয়ার কথা জানান। এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশিকাতে উচ্ছ্বাসিত পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরাও।
স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের জারি করা এই নির্দেশিকাতে জানানো হয়েছে, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে পড়ুয়াদের টিকা প্রদানের কর্মসূচি শুরু করবে স্বাস্থ্য দফতর। এ নিয়ে স্থানীয় কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আলোচনাও করতে বলা হয়েছে। কোন কলেজে কত জন পড়ুয়ার এখনও টিকা পাওয়া বাকি, তার তালিকা তৈরি করে জানাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে।
টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা (পরিবার কল্যাণ) অসীম দাস মালাকার বলেন, “পুজোর পরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা রয়েছে, তাই পড়ুয়াদের টিকার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত পড়ুয়ার একটি ডোজ়ও হয়নি, তাঁদের অন্তত প্রথম ডোজ় দিয়ে দেওয়া হবে।” ঠিক হয়েছে, কলেজের কাছাকাছি টিকা প্রদান কেন্দ্রে গেলেই পড়ুয়াদের টিকা মিলবে। আবার জায়গা, লোকবল-সহ অন্য পরিকাঠামো থাকলে কলেজেও টিকা দানের ব্যবস্থা করে দেবে স্বাস্থ্য দফতর। পুরো বিষয়টি তদারকির জন্য এক নোডাল অফিসারকে নিয়োগ করার জন্যও এ দিনের নির্দেশিকাতে উচ্চশিক্ষা দফতরকে অনুরোধ করা হয়েছে। যাঁর সঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা যোগাযোগ করে টিকা প্রদানের বন্দোবস্ত করবেন।