দিল্লি আদালতে চলল এলোপাথাড়ি গুলি, প্রশ্নের মুখে অমিত শাহের অধীনস্ত দিল্লী পুলিশের ভূমিকা
দিল্লির আদালতকক্ষের মধ্যেই চলল গুলি। শুক্রবার দুপুরে গুলির লড়াইয়ে অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদ সংস্থা সূত্রে। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। দিল্লির কুখ্যাত দুষ্কৃতী জিতেন্দ্র গোগীর মৃত্যু হয়েছে এই লড়াইয়ে।
উত্তর দিল্লির রোহিণীতে আদালতকক্ষের মধ্যেই বিরোধী দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। বেশ কিছু দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পরে আদালতকক্ষে প্রবেশ করেছিল।
কুখ্যাত দুষ্কৃতী গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। গত এপ্রিলে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ বিভাগ। সে রকম এক মামলায় আদালতে আনা হয়েছিল গোগীকে। তখনই তার বিরোধী গোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। কয়েক জন দুষ্কৃতী আইনজীবীদের পোশাক পরেই আদালত চত্বরে ঢুকে ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোগীর উপর হামলার ঘটনায় ‘টিল্লু’ দলের দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। দুষ্কৃতীদের গুলি চালনার মধ্যেই পাল্টা গুলি চালিয়েছে পুলিশও। সেই গুলিতে দুষ্কৃতী দলের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবারের এই ঘটনায় আদালত চত্বরের মধ্যে ৩৫ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। সেখানে কর্মরত এক মহিলা আইনজীবীও আহত হয়েছেন। রোহিণীর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রণব তয়াল বলেছেন, ‘‘আইনজীবীর পোশাক পরে আততায়ীরা আদালতের মধ্যেই গোগীর উপর গুলি চালায়। তার পর পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছে।’’
জানা গিয়েছে, দিল্লির ওই দুই গ্যাঙের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘ দিনের। গত কয়েক বছরের তাদের মধ্যে ল়ড়াইয়ের জেরে ২৫ জনেরও বেশি ব্যক্তির প্রাণ গিয়েছে। ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর অপরাধ জগতে প্রবেশ করে জিতেন্দ্র গোগী। স্কুলছুট গোগী প্রোমোটারি সংক্রান্ত কাজকর্ম শুরু করে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রবীণ নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে খুন করে গোগী। সে বছরই অক্টোবরে দিল্লির শ্রদ্ধানন্দ কলেজের নির্বাচনে গোগী এবং তাঁর সহযোগীরা সন্দীপ এবং রবিন্দর নামের দুই যুবককে খুন করে। তখন তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর পর টাকা রোজগারের জন্য নতুন গ্যাং তৈরি করে সে।’