দুর্গাপুজোয় প্যান্ডেলে ভিড় করা যাবে? নতুন নির্দেশিকা কেন্দ্রের
কোভিড আক্রান্ত হয়েছে জেনে মানসিক চাপ রাখতে না পেরে ৩০ দিনের মধ্যে কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করলেও মৃতের পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ হাজার টাকা পাবে। সুপ্রিম কোর্টে অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শীর্ষ আদালতকে এ ব্যাপারে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, করোনার পজিটিভ রিপোর্ট আসার ৩০ দিনের মধ্যে যদি কোনও ব্যক্তি মারা যান, তাহলে সেটিও ‘কোভিডের কারণে মৃত্যু’ বলেই চিহ্নিত করা যাবে। একইভাবে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩০ দিনেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রয়াত হলেও মৃত্যুর কারণ কোভিড বলেই গণ্য করা হবে।
পাশাপাশি, উৎসব মরশুমে অযথা ভিড় বাড়িয়ে বিপদ ডেকে না আনতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষ করে সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়নি বলেও এদিন জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। মন্ত্রকের বক্তব্য, একদিকে যেমন টিকাকরণে জোর দেওয়া হচ্ছে, তেমনি একইভাবে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, উৎসব মরশুমে কোনওভাবেই অপ্রয়োজনে ভিড় না করার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র। বিশেষত, যেখানে পজিটিভিটির হার ৫ শতাংশের বেশি। একান্ত প্রয়োজন না হলে পুজোয় ভ্রমণ করতেও মানা করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া অতিরিক্ত হলফনামায় কেন্দ্রের বক্তব্য, স্বজন হারানো পরিবারের ক্ষতিপূরণ করা কখনও সম্ভব নয়। তবুও পাশে থাকার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, কোভিডে মৃতের পরিবারকে রাজ্যের তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের এই সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চ কেন্দ্রের এই উদ্যোগে সন্তুষ্ট উল্লেখ করে আগামী ৪ অক্টোবর এই ব্যাপারে নির্দেশ দেবে বলে জানিয়েছে। বিচারপতি এম আর শাহ বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি। সরকার যা করছে, তাতে অন্তত কিছুটা হলেও মৃতের পরিবারের চোখের জল মোছানো যাবে।’
এদিকে, প্রাপ্তবয়ষ্ক জনসংখ্যার ৬৬% নাগরিক টিকার প্রথম ডোজ পেয়ে গিয়েছেন। একথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রের উচ্চপর্যায়ের এক কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, টিকাকরণ ১০০ শতাংশ করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটি হল, যাঁরা শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম (প্রতিবন্ধী), বাড়ি থেকে বেরতে অক্ষম, শয্যাশায়ী, টিকাকেন্দ্রে কোনওভাবেই যেতে পারবেন না, তাঁরা এবার ঘরে বসেই টিকা পাবেন। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সহ সব রাজ্যকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করে চিঠিও দিয়েছি বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।