কলকাতা বিভাগে ফিরে যান

খাবারের ভেজাল ধরতে চালু হচ্ছে পুরসভার অত্যাধুনিক ল্যাব

September 24, 2021 | 2 min read

পুজোর আগেই চালু হতে চলেছে কলকাতা পুরসভার অত্যাধুনিক ফুড ল্যাবরেটরি। খাবারের ভেজাল ধরতে উন্নত মানের পরীক্ষার জন্য আর কেন্দ্রীয় সরকারি বা বেসরকারি গবেষণাগারের উপর নির্ভর করতে হবে না। খাবারের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরীক্ষার জন্য এই বিশেষ মাইক্রো বায়োলজিক্যাল ল্যাব বানানো হয়েছে, যা পূর্ব ভারতের সর্বাধুনিক ফুড ল্যাব বলেই দাবি করেছে পুরসভা।

বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার হাডকো বিল্ডিংয়ে ৪৮০০ বর্গফুট এলাকাজুড়ে বানানো এই ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অতীন ঘোষ এবং ফুড সেফটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বিভাকর ভট্টাচার্য। পুরসভার মাইক্রোবায়োলজিস্ট শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ল্যাব ঘুরিয়ে দেখান। এতদিন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা নথিভুক্ত পুরসভার নিজস্ব ২১০০ বর্গফুট জায়গায় একটি ফুড ল্যাব ছিল। তার পাশাপাশি এবার বিশ্বমানের এই নতুন ল্যাবরেটরি গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, যন্ত্রপাতির ঘর এবং গবেষণার জন্য বেশ দামি যন্ত্রপাতি রয়েছে। আগামী দিনে এখানে মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগ অর্থাৎ পানীয়তে থাকা ধাতু পরীক্ষা করার জন্য বিশেষ গবেষণাগারও চালু করা হবে। এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে আট কোটি টাকা। নানা ধরনের যন্ত্রাংশ কিনতে কেন্দ্র পরে আরও ১০ কোটি টাকা দেবে বলে জানিয়েছেন অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, এতদিন খাবারে ভেজাল ধরতে আমরা একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরীক্ষা করতে পারতাম। এবার আধুনিক যন্ত্রপাতির দ্বারা আরও সূক্ষ্ম পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আগামী দিনে বেসরকারি সংস্থাও চাইলে আমাদের এখানে খাবারের নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে। পাশাপাশি, পরিশুদ্ধ বোতলবন্দি পানীয় জল, কোলড্রিঙ্কস, জুস—এইসব ধরনের পানীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে। ভারী ধাতু, কীটনাশক, মাইকোটক্সিন, খাবার সংরক্ষণ করার উপাদান, অ্যান্টিবায়োটিক এবং জল মিশ্রিত বিভিন্ন ধাতুর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা যাবে। জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি টাইফায়েড, কলেরা, খাবারের বিষক্রিয়া সংক্রান্ত জীবাণুর পরীক্ষাও এই গবেষণাগারে করা সম্ভব হবে। রোটারি ভ্যাকিউম ক্লিনার, গ্রাইন্ডার, স্টেরিলাইজ করার জন্য অটোমেটিক অটোক্লেভ, হিটার কাম ম্যাগনেটিক স্ট্যারার সহ আরও একাধিক অত্যাধুনিক যন্ত্র এই ল্যাবরেটরিতে রাখা হয়েছে। সম্পূর্ণ আইসোলেটেড

অর্থাৎ বাইরের বাতাস ভেতরে এবং ভেতরের বাতাস বাইরে প্রবেশ করতে পারবে না, এভাবেই তৈরি করা হয়েছে এই ল্যাব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Kolkata, #food lab

আরো দেখুন