রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পিএম কেয়ার্স কার সম্পত্তি? ভিডিও প্রকাশ করে প্রশ্ন তৃণমূলের

September 24, 2021 | 2 min read

পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে কেন্দ্রের হলফনামার বিরুদ্ধে ভিডিওর মাধ্যমে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল তৃণমূল। গতকাল দিল্লি হাইকোর্টে কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে দাবি করেছে পিএম কেয়ার্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়। তৃণমূলের প্রশ্ন তাহলে পিএম কেয়ার্স ফান্ড কার সম্পত্তি! তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে খবরের কাগজের, চ্যানেলের রিপোর্ট, সাংসদদের বক্তৃতা তুলে ধরা হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে কেন্দ্রের দাবিও। শেষে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে তাহলে পিএম কেয়ার্স ফান্ড কার সম্পত্তি?

প্রসঙ্গত, পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক লেগে রয়েছে। এবার আদালতের আঙিনাতেও পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে তৈরি বিতর্কের অবসানে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, পিএম কেয়ার্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়। কেবল ভারতীয় আইনের আওতাধীন একটি দাতব্য সংস্থা। দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘রাষ্ট্রের গচ্ছিত তহবিলের অংশ নয় পিএম কেয়ার্স ফান্ড।‘ আসলে পিএম কেয়ার্স ফান্ডের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। তার প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সচিব প্রদীপ শ্রীবাস্তব লিখিতভাবে আদালতে জানিয়েছেন, তথ্য জানার আইনে তৃতীয় সংস্থার তথ্য প্রকাশ করার অধিকার নেই। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে আরও জানানো হয়, পিএম কেয়ার্স ফান্ডে বাজেট থেকে কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয় না। স্বেচ্ছায় যারা অনুদান জমা দেন, সেটাই শুধু জমা পড়ে। কোনও আইনের মাধ্যমেও এই তহবিল তৈরি করা হয়নি।

আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর নামেই পিএম কেয়ার্স ফান্ডের তহবিল তৈরি। একাধারে তিনি যেমন এই তহবিলের চেয়ারম্যান, তেমনই তহবিলের ঠিকানা হিসেবেও উল্লেখ রয়েছে সাউথ ব্লকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীও এই তহবিলের এক-একজন পরিষদ সদস্য। শুধু তাই নয়, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের যে ওয়েবসাইট, তাতে একাধারে যেমন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি, তেমনই জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভও রয়েছে। এমনকী পিএম কেয়ার্স ফান্ডে অর্থ সাহায্যের আবেদন করে সরকারি খরচে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রক, সরকারী কর্মীদের বেতন কেটেও এই ফান্ডে টাকা জমা করা হয়েছে। অথচ এখন দাবি করা হচ্ছে, পিএম কেয়ার্স ফান্ড রাষ্ট্রের সম্পত্তি নয়! বিরোধীদের আরও দাবি, যদি পিএম কেয়ার্স ফান্ডের সাথে সরকারের কোন সম্পর্ক নাই থেকে থাকে তাহলে একটা বেসরকারি তহবিলে চাঁদা জোগাড়ের জন্য নিজের পদ কেন ব্যবহার করলেন নরেন্দ্র মোদী?
স্বাভাবিক কারণেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#PM CARES Fund, #trinamool

আরো দেখুন