সহযোগী দলগুলি চাইলেও জনগণনায় জাতির উল্লেখে নারাজ মোদী সরকার
ওবিসিদের (OBC) জনগণনার ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখে সায় নেই। সুপ্রিম কোর্টে সাফ জানিয়ে দিল কেন্দ্র। মহারাষ্ট্র সরকার ওবিসি বা পিছিয়ে পড়া অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত মানুষের জনসংখ্যা আলাদাভাবে গণনা করতে চাইছে, তাতে স্পষ্ট আপত্তি জানাল কেন্দ্রের মোদী (Narendra Modi) সরকার। কেন্দ্র বলছে, ওবিসিদের মধ্যে আবার আলাদা আলাদা করে জাতির উল্লেখ করলে ত্রুটিমুক্তভাবে সেই তালিকা তৈরি করা একপ্রকার অসম্ভব।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের তরফে হলফনামায় জাতিগত জনগণনার ক্ষেত্রে একাধিক আপত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রশাসনিকভাবে জনগণনার ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ করা একপ্রকার অসম্ভব। আর যদি করাও হয়, সেটাও থেকে যাবে অসম্পূর্ণ এবং ত্রুটিপূর্ণ। শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) কেন্দ্র অনুরোধ করেছে গ্রামীণ এলাকার ওবিসিদের আর্থ-সামাজিক তথ্য যেন জনগণনায় উল্লেখ করা না হয়।
আসলে, ২০১১ সালের পর চলতি বছরই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা। কিন্তু করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। চলতি বছরের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিজেপিরই জোটসঙ্গী তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)।
আসলে জনগণনার ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ করার বরাবরই বিরোধী। আবার মহারাষ্ট্র (Maharastra) সরকার সেরাজ্যের ওবিসি জনসংখ্যার হিসাব করতে চায়। সেজন্য তাঁরা কেন্দ্রের কাছে ২০১২১ জনগণনায় রাজ্যের ওবিসি জনসংখ্যার পরিমাণ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র সেই তথ্য দিতে আপত্তি জানিয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, ২০১১’র জনগণনার তথ্য ত্রুটিপূর্ণ এবং অসম্পূর্ণ। তাই ওই তথ্য ব্যবহারযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের স্পষ্ট অবস্থান, জনগণনার ক্ষেত্রে জাতির উল্লেখ করলে, সেই তালিকা হবে ত্রুটিপূর্ণ। তাই এই ধরনের তালিকা তৈরির অনুমতি যেন মহারাষ্ট্র সরকারকেও না দেওয়া হয়।