বিনা পারমিটে ই-অটো পথে নামার ছাড়পত্র দিতে চলেছে নবান্ন
পরিবেশ দূষণ ক্রমশ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। পাল্লা দিচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ থেকে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। আগে থেকেই দূষণ মোকাবিলায় উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার বাংলার পরিবেশ রক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী নিলেন এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত—ইলেক্ট্রনিক অটো রিকশ বা ই-অটো চালু। খুব শীঘ্রই সেগুলি নামবে রাজ্যের অলিগলিতে। আর পরিবেশ বান্ধব এই যান ব্যবহারে উৎসাহ দিতে বিনা পারমিটে পথে নামার ছাড়পত্র দিতে চলেছে নবান্ন।
বর্তমানে রাজ্যের বড় একটা অংশে অটো চলে কাটা তেলে। পাশাপাশি সিএনজি জ্বালানির ব্যবহার থাকলেও, তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই বিকল্প হিসেবে এই বিদ্যুৎচালিত যানের দিকে ঝুঁকেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই ই-বাস পরিষেবা চালু করেছে পরিবহণ দপ্তর। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ই-অটো। বর্তমানে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি অটো সরকারি খাতায় নথিভুক্ত। সেই চালু রুটগুলিতে অবশ্য ই-অটো ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত সরকারের। অর্থাৎ ই-অটোর জন্য তৈরি হবে নয়া রুট। ফলে কয়েক লক্ষ অটোচালকের জীবিকা ক্ষতির মুখে পড়বে না। পাশাপাশি তৈরি হবে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ।
দপ্তর সূত্রে খবর, পাইলট প্রকল্প হিসেবে কলকাতা ও সংলগ্ন কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে নামতে চলেছে ই-অটো। সম্প্রতি বিভাগীয় কর্তাদের নিয়ে এই সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই ই-অটো নামানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। পরিবেশবান্ধব এই যানের প্রযুক্তি ও কারিগরি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন কর্তারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদ্যুৎচালিত অটোকে জনপ্রিয় করতে পারমিট ফি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু সহায়তা করবে রাজ্য। ই-বাসের জন্য ইতিমধ্যেই বহু ডিপোতে চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই হবে অটো চার্জিং স্টেশনও। পাশাপাশি কলকাতা ও শহরতলির বহু পার্কিং লটে এই ব্যবস্থা রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পরিবহণ কর্তারা চাইছেন, ই-অটোগুলি হোক ‘ডবল’ ব্যাটারির। যাতে একটি চার্জে বসিয়ে, অপর ব্যাটারির সাহায্যে পরিষেবা চালু থাকে। ফলে চালকদের সময় বাঁচবে, আবার ভাড়াও হাতছাড়া হবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শহর ও শহরতলির বুকে চালু হবে একাধিক মেট্রো প্রকল্প। সূত্রের খবর, সেই সব রুটে চলতে পারে ই-অটো।