১-০ গোলে অ্যাস্টন ভিলা হারাল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) মতো গোলমেশিন দলে, অথচ পেনাল্টিই মারলেন না পর্তুগিজ মহানায়ক। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড (Manchester United) তখন পিছিয়ে ০-১ গোলে। খেলা গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। যে কোনও সময়ে রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেবেন।
পেনাল্টি স্পট থেকে গোললাইন, পৃথিবীর রহস্যময় সরণী। এই গোলকধাঁধায় পথ হারিয়েছেন অনেকে। রোনাল্ডোর সতীর্থ ব্রুনো ফার্নান্দেজ সেই তালিকায় নবতম সংযোজন। তাঁর নেওয়া পেনাল্টি উড়ে গেল বারের অনেক উপর দিয়ে। আর ব্রুনো ফার্নান্দেজের শট উড়ে যাওয়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল অ্যাস্টন ভিলার (Aston Villa) সমর্থকরা। হতাশা গোপন রাখতে পারেননি ম্যান ইউ সমর্থকরা। ব্রুনো পেনাল্টি নিতে দক্ষ। কিন্তু এদিন বিশ্বাসঘাতকতা করে বসল তাঁর বুট জোড়া।
হতাশা গোপন করেননি রোনাল্ডোও। খেলার শেষ বাঁশির পরে দ্রুতপায়ে হেঁটে টানেলে অদৃশ্য হয়ে গেলেন সুপারস্টার। মাঠ ছাড়ার আগে সতীর্থ ব্রুনোর পিঠে মৃদু চাপড় দিলেন। শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছিল রোনাল্ডো হতাশ। ব্রুনোর জায়গায় তিনি শটটি নিলে গোল অবধারিত ছিল। এরকম টেনশনের মুহূর্তে বহুবার রোনাল্ডো ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
দিনের শেষে স্কোরলাইন বলছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ০ অ্যাস্টন ভিলা ১। ঘরের মাঠে হার মানতে হল রোনাল্ডোর দলকে। খেলার ৮৮ মিনিটে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে গোলটি করেন কোর্টনি হজ। সেই হজের জন্যই পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার। কিন্তু মোক্ষম সময়ে ব্রুনো ফার্নান্দেজ গোল করতে না পারায় স্বস্তি পান অ্যাস্টন ভিলার গোলদাতা। নাহলে এদিন হয়তো তাঁকেও ক্ষমা করতেন না সমর্থকরা। এদিন ৬০ শতাংশ বল পজেশন ছিল ম্যান ইউয়ের দখলে। প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে বেশি শট নিয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। নিজেদের মধ্যে পাসও অনেক বেশি খেলেছেন রোনাল্ডোরা। তবুও কাজের কাজটা করতে পারেনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
২০০৯ সালের পর ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রথম জয় পায় অ্যাস্টন ভিলা। গত ১৮ বারের সাক্ষাতে ‘রেড ডেভিলস’-এর বিরুদ্ধে এই প্রথম জয় পায় ভিলা। ম্যান ইউ-র জার্সিতে এর আগে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ১৪ বার মাঠে নেমেছেন রোনাল্ডো। একবারও হারেননি তিনি। এদিন প্রথম হারের স্বাদ পেলেন রোনাল্ডো।