করোনেশন ব্রিজের বিকল্প নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে
সেভক করোনেশন ব্রিজের বিকল্প সেতু নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠল। এই বিকল্প সেতুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোসাইটি। এই মঞ্চের অন্যতম নেতা চন্দন রায় শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন। তিনি নাম না করে দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া সহ কিছু জায়গায় বিজেপির একজন প্রতিনিধি প্রচার চালাচ্ছেন যে সেভকের করোনেশন ব্রিজের বিকল্প সেতুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এটা মিথ্যা প্রচার। মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কেননা আমরা সরকারি স্তরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি এই বিকল্প সেতুর ডিপিআর এখনও তৈরি হয়নি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ডিপিআর ছাড়া কোনও প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ হয় না।
এক্ষেত্রেও এখন পর্যন্ত কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি।সেভক করোনেশন ব্রিজের দায়িত্বে থাকা রাজ্য পূর্তদপ্তরের ডিভিশন-৯ এর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে সিংও এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সেভকে বিকল্প সেতুর জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ হয়নি। ডিপিআরও তৈরি হয়নি। চন্দনবাবু আরও বলেন, বিজেপি হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের যে প্রচার চালাচ্ছে তাতে আমাদের দাবি, এই প্রচারের সঙ্গে সেভকে বিকল্প সেতুর ডিপিআরও জনসমক্ষে আনা হোক। পরিস্থিতি জটিল বুঝতে পেরেই হয়ত বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, আমি শুনেছি ২০২২ সালের মধ্যেই অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ হয়ে এই বিকল্প সেতুর কাজ শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতিগত ভাবে এই সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটাই আমরা বলছি।
সেভকে বিকল্প সেতু তৈরি ও করোনেশন ব্রিজের সংরক্ষণের দাবিতে ডুয়ার্স-তরাই মৈত্রী সাইকেল র্যালির আয়োজন করেছে ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোসাইটি। ২ অক্টোবর মালবাজার ও শিলিগুড়ি থেকে দু’টি সাইকেল মিছিল এসে সেভক করোনেশন ব্রিজে মিলিত হবে। চন্দনবাবু বলেন, ১৯৩৭ সালে ৫ নভেম্বর করোনেশন ব্রিজ তৈরি হয়েছিল। বয়সের সঙ্গে ভূমিকম্প, তিস্তার ভাঙনে এই সেতু বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও দিন বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তা এড়াতেই আমরা বিকল্প সেতুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এই বিকল্প সেতু তৈরি হলে শিলিগুড়ির সঙ্গে ডুয়ার্সের যোগাযোগ অরেকটাই সংক্ষিপ্ত হবে। চিকিৎসা পরিষেবা ও ব্যবসা বাণিজ্যেও ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে শিলিগুড়িতে আসতে হয়। বিকল্প সেতু তৈরির আগে করোনেশন ব্রিজ ভেঙে গেলে শিলিগুড়ির সঙ্গে সড়ক পথে ডুয়ার্সের সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।