কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করলেও, বন্ধ কে সমর্থন নয়, জানালেন মমতা
সোমবার কৃষকদের পক্ষ থেকে ভারত বন্ধ ডাকা হয়েছে। তাতে বেশিরভাগ রাজ্য সমর্থনও করেছে। কিন্তু এই বন্ধের রাজনীতি সমর্থন করছে না বাংলার তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এই সিদ্ধান্তের কথা আজ জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর পাশে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি কৃষি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার কথা বারবার বলা হয়েছে কৃষকদের পক্ষ থেকে। এমনকী তার জেরে সিংঘু প্রদেশে লাগাতার আন্দোলন চলেছে কৃষকদের। সেখানে টিম পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষক–বিরোধী আইন প্রত্যাহার করার পক্ষে সওযালও করেছিলেন। এবার দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের পাশে দাঁড়ালেও বাংলায় বনধ–বিরোধী যে অবস্থান নিয়ে সরকার চলছে সেটাই বহাল থাকবে বলে রবিবার স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ তিনি জানান, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বন্ধ সমর্থন করা হয় না। তবে ইস্যুকে সমর্থন করছি। কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ তিকাইত নবান্নে এসে দেখা করেছিলেন। সেই ছবি সবার মনে আছে। সেখানে বন্ধ সমর্থন না করায় বাংলায় সব সচল থাকবে বলেই খবর। এই বিষয়ে রবিবার যদুবাবুর বাজারে উপনির্বাচনের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন হচ্ছে। আমরা তাঁদের সমর্থন করছি। তিনটি আইন প্রত্যাহার করতে বলছি। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বন্ধ সমর্থন করি না। কোনও বনধ করি না। কিন্তু ইস্যুটাকে সমর্থন করি।’
অন্যান্য রাজ্য এই বন্ধকে সমর্থন করছে বলেই খবর। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের নিয়ে তিনটি বিল এনেছিল। তারপর তা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাশ করিয়ে নেয়। বারবার তা নিয়ে বৈঠক হলেও রফাসূত্র অধরাই থাকে। এই আইন প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রের কাছে আরও একবার দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন প্রত্যাহার করুক। কালা কানুন মানছি না। দরকার হলে পাঞ্জাব, হরিয়ানায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আমি।’