শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত ‘গুলাব’, অন্ধ্র-ওড়িশায় চলছে বৃষ্টি
শক্তি হারাল ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ । রবিবার সন্ধেয় ‘গুলাব’ স্থলভাগে প্রবেশ করে। বর্তমানে এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে এটি অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে তা সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার জেরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় চলবে বৃষ্টি।
রবিবার বিকেল নাগাদ ওড়িশার দক্ষিণে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরে কলিঙ্গপত্তনমের উপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করার কথা ছিল ‘গুলাব’-এর। তার প্রভাবে ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানা গিয়েছিল। রবিবার সকাল থেকেই বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সন্ধেয় গুলাব আছড়ে পড়ার পর আরও বেড়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে দাপট দেখাচ্ছে হাওয়া। ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইছে হাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শ্রীকাকুলাম জেলা প্রশাসনের তরফে বহু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে এদিন সন্ধেয় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৬ মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২ জনের।
এদিকে, সোমবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরে নিম্নচাপ হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করবে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টি। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে।
৫০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। উত্তরবঙ্গে (North Bengal) আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।