নবনির্মিত সেতুর সৌজন্যে করুণাময়ী থেকে ভিআইপি রোডে যেতে মাত্র ২০মিনিট
সল্টলেক করুণাময়ী থেকে ভিআইপি রোড। গাড়িতে সময় লাগে আধঘণ্টার কাছাকাছি। তবে পুজোর পরেই সেই সময় কমে আসবে প্রায় ১০ মিনিটে। সৌজন্যে রাজ্য সরকারের সেচদপ্তরের নবনির্মিত সেতু। এই সেতু দিয়ে দু’দিকেই গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে। কেষ্টপুর খালের উপরে এই সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষের মুখে। পুজোর পরেই এই সেতু উদ্বোধন হতে চলেছে বলে সেচদপ্তর সূত্রে খবর।
করুণাময়ী মোড় থেকে খালপাড়ের দিকে গেলেই নজরে আসবে নির্মীয়মাণ সেতুটি। এজে ব্লক এবং একে ব্লক সংলগ্ন রাস্তা ধরেই এগলেই পড়বে সেতু। এই সেতুই খালের দু’প্রান্তকে যুক্ত করেছে। ওপাড়ে কেষ্টপুর সমরপল্লি এলাকা। এরপর কেষ্টপুর ক্যানাল রোড ধরে মিনিট পাঁচেকের এগলেই পৌংছে যাবেন ভিআইপি রোডে।
ফলে সিগন্যালের চাপ ছাড়াই সহজে ভিআইপি রোডে পৌঁছে যেতে পারবেন সল্টলেকবাসী। এতে সময় ও ধকল দু’টোই কমবে, দাবি সেচদপ্তরের আধিকারিকদের। সূত্রের খবর, কেষ্টপুর খালের উপরের অংশের সেতু ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে দপ্তর। কেষ্টপুরের ক্যানাল রোডের সঙ্গে ব্রিজের সংযুক্তিকরণের কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। জানা গিয়েছে, এজে এবং একে ব্লকের মাঝ বরাবর রাস্তার সঙ্গে ব্রিজের সংযুক্তিকরণের কাজ পুজোর আগেই শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইমতো ঠিকাদার সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে ব্রিজের উপর পিচ ঢেলে তাকে পোক্ত করা হবে। আসন্ন দুর্গাপুজোর পরেই এই সেতুটি যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
খালের উপরের এই সেতুটির প্রস্থ প্রায় ৩০ ফুট। সেচদপ্তর সূত্রে খবর, সেতুটি দিয়ে দু’দিকেই যান চলাচল করতে পারবে। শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী যান চলাচলেরও যোগ্য এটি। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে পণ্যবাহী যান চলাচলের কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই জানা গিয়েছে। সেতুটিকে এলইডি আলো দিয়ে সাজিয়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই কেষ্টপুরের খাল পাড়ে লাইটপোস্ট লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মিটতে চলেছে বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তিনি বলেন, এই সেতু চালু হয়ে গেলে সল্টলেকবাসীর বিশেষ সুবিধা হবে। অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারবেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, সল্টলেক থেকে বিমানবন্দর পৌঁছনো আরও মসৃণ হয়ে যাবে বলেই আশ্বাস মন্ত্রীর।