দেশ বিভাগে ফিরে যান

সিপিআই পার্টি অফিস থেকে এসি খুলে নিলেন কানহাইয়া কুমার !

September 28, 2021 | 2 min read

কংগ্রেসে যোগদানের আগে নিজের পার্টি অফিস থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেশিন খুলে নিলেন বাম নেতা। সিপিআই-এর বিহারের রাজ্য সম্পাদক রাম নরেশ পাণ্ডে বলেন, ‘সম্প্রতি পাটনার অফিস থেকে এসি খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই এসি মেশিনটি কানহাইয়াই অফিসে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। নিজের খরচেই এসি লাগিয়েছিলেন কানহাইয়া।’ ঘটনায় রীতিমতো হতবাক বিহারের বাম কর্মী-সমর্থকরা। ইউথ আইকনের এহেন অচরণে ক্ষুব্ধ অনেকেই। অনেকে আবার পার্টি নেতৃত্বকেই দাপুটে নেতাকে ধরে রাখতে না পারার জন্য দুষছেন।

সংবাদসংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বিহারের সিপিআই রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, ‘গত ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে পার্টির এক্সিকিউটিব কাউন্সিলের বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। তখনও একবারের জন্য মনে হয়নি তিনি দল বদলে ফেলতে পারেন। কানহাইয়া দলের কাছে কখনও কোনও পদের জন্য দাবি করেননি।’

মঙ্গলবার সকালেই দিল্লিতে কংগ্রেস অফিসের বাইরে দেখা গেল কানহাইয়ার নামে পোস্টার। বামেদের এই পোস্টার বয়কে দলে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। একই পোস্টারে রাহুল গান্ধীর সঙ্গেই রয়েছে কানহাইয়ার ছবি। এর আগে বাম-কংগ্রেস জোটের চিত্র দেখেছে বাংলা। ভোটের ময়দানে যৌথ লড়াইয়ের ক্ষেত্রে দেওয়াল লিখনে দেখা গিয়েছে হাত-হাতুড়ি-কাস্তের সহাবস্থান। কিন্তু, কানহাইয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। ইতিমধ্যেই যুব বামপন্থী কর্মীরা কানহাইয়াকে ‘গদ্দার’ আখ্যা দিতে শুরু করেছেন। দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একাধিক টোপের খবর। সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোরের ছকে দেওয়া নীল নকশা রেকাবে সাজিয়ে এই ফায়ারব্রান্ড ছাত্রনেতার কাছে নিয়ে গিয়েছিল কংগ্রেস।

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সভাপতি কানহাইয়া কুমারের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে বারেবারেই উত্তাল হয়েছে বাম রাজনীতি। কানহাইয়া সিপিআই-র ছাত্র সংগঠন AISF সদস্য হলেও SFI সহ প্রায় সমস্ত বাম ছাত্র শিবিরে বরাবরই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেছেন কানহাইয়া। তাঁর তোলা ‘আজাদি’র স্লোগানও আজও বামেদের ছাত্র-যুবদের মুখে মুখে ফেরে। বাম আদর্শের প্রতীক এহেন নেতার দলবদলে বাম আন্দোলনে যে বড় ধাক্কা হতে চলেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Congress, #Kanhaiya Kumar, #cpi

আরো দেখুন