সঙ্ঘ পরিবারের বিষনজরে আমাজন, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা
দেশীয় সংস্থা ইনফোসিসের পর এবার বহুজাতিক আমাজন। সঙ্ঘ পরিবারের বিষনজরে পড়েছে জেফ বেজোসের সংস্থা। ‘পাঞ্জজন্য’ পত্রিকায় আমাজনকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
‘পাঞ্জজন্য’ একটি পত্রিকা। যার পরিচালক মণ্ডলীর সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। আরএসএস আবার শাসক বিজেপির আদর্শগত মেন্টর। সেই ‘পাঞ্জজন্য’-এর এবার কভার স্টোরি করেছে অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজসকে নিয়ে। তাঁকে ‘মন্দ ব্যবসায়ী’ বলে খাঁড়া করা হয়েছে। এই কভার স্টোরি নিয়ে শোরগোল পড়েছে গোটা দেশেই। কভার স্টোরির শিরোনাম থেকে ভিতরে লেখার পরতে পরতে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বেজসকে। ফাঁস করা হয়েছে ভারতে ব্যবসা প্রসারে তাঁর সংস্থার ঘুষ দেওয়ার কীর্তিকেও। যা প্রকাশ্যে আসতেই তেড়েফুঁড়ে উঠেছে বিরোধী কংগ্রেস। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে আমাজনের ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্তের নির্দেশ দিতে হবে সরকারকে। সোমবার ‘পাঞ্জজন্য’-এর হিতেশ শঙ্কর নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে কভার স্টোরির একটি ইমেজ পোস্ট করেন। সেখানে বেজসের ছবি সহ স্টোরির শিরোনাম এরকম—‘হ্যাশ অ্যামাজন: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ২.০’। প্রকাশিত হবে খুব শীঘ্রই। তার আগে প্রকাশ্যে আসা স্টোরির কিছু অংশে বলা হয়েছে, ‘আমাজন সর্বগ্রাসী একটি ব্যবসায়ী সংস্থা। ঊনবিংশ শতাব্দীতে ভারতে যেভাবে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল, এখন
ঠিক সেটাই করছে বেজসের সংস্থা। গিলে নিচ্ছে ভারতের অর্থনীতি, রাজনীতি। কিনে নিচ্ছে ভারতবাসীর ব্যক্তি স্বাধীনতাও।’ একই সঙ্গে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ভারতে এই একছত্র আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের অনুকূলে নিয়মনীতি চালু করতে সরকারি কর্তাদের ঘুষ দিতেও পিছপা হয়নি আমাজন।
একটি সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০১৮-২০ সালের মধ্যে সংস্থার আইনি পরামর্শদাতাদের মধ্যে ঘুষ বাবদ খরচ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা।’ এখানেই থেমে থাকেনি সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ‘পাঞ্জজন্য’। বলা হয়েছে, আমাজনের ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং প্রাইম ভিডিওতে যেসব ছবি দেখানো হয় তা ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী।