দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্নে জরুরি বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের
মঙ্গলবার বেলা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। রাতের দিকে সেই বেগ বাড়তে থাকে। গভীর রাত থেকে টানা অঝোর বর্ষণ (Rain)। বুধবারও পরিস্থিতি একই থাকায় দুপুরে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। দীর্ঘ কয়েকঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেসব জেলা থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়েই আলোচনা চলছে বলে নবান্ন (Nabanna) সূত্রের খবর।
বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল মঙ্গলবার সকালেই। তার প্রভাবে দিনভর আকাশ ছিল মেঘলা। দফায় দফায় বৃষ্টিও হয় কয়েক পশলা। বুধবারও যে একই পরিস্থিতি থাকবে, সেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। সেই পূর্বাভাস সত্যি করে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে টানা বৃষ্টি চলছেই। কলকাতাতেও প্রায় একই পরিস্থিতি।
এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে যাতে বড়সড় দুর্যোগ না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রেখেছেন তিনি। সেই কারণেই নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা। দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলার পরিস্থিতি ঠিক কেমন, সেদিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। জেলাশাসকদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে সমস্ত রিপোর্ট।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার থেকে দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। দক্ষিণবঙ্গে কমবে বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে অবশ্য নতুন করে বৃষ্টি শুরু হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার আবার ভবানীপুর (Bhabanipur)-সহ মুর্শিদবাদের দুই কেন্দ্র – সামশেরগঞ্জ, মুর্শিদাবাদে ভোট। ফলে ভোট এবং দুর্যোগ – দুটি বিষয়ের দিকেই নজর রাখছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নির্বাচনী এলাকাগুলিতে দ্রুত জল সরানোর কাজ চলছে। কলকাতাতেও রাতভর কন্ট্রোল রুমে (Control Room) থেকে পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রয়োজনে পাম্প চালিয়ে জল নিকাশের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।