কলকাতার আদলে শিলিগুড়িতেও দুর্গাপুজোয় বিসর্জন কার্নিভালের উদ্যোগ পুরসভার
কলকাতার আদলে এবার শিলিগুড়িতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় ‘কার্নিভাল’ করার প্রস্তাব উঠল পুরসভায়। মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে সভা করার পর শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব এমন পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন মহানন্দা নদীর ঘাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে আতশবাজি প্রদর্শনী করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রাজ্যের অনুমোদন মিললে পুর প্রশাসন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করবে।
বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মানুষের মনোরঞ্জনে গত কয়েক বছর ধরে কলকাতায় বির্সজনের সময় রেড রোডে বিশেষ কার্নিভাল করছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি এবং পর্যটন দপ্তর। যা দেশে তো বটেই, বিদেশেও সমাদৃত হয়েছে। কলকাতার মতো উত্তরবঙ্গের অঘোষিত রাজধানী শহর শিলিগুড়িতে দুর্গা কার্নিভাল করার দাবি বহুদিনের। সেই মতো এবার বির্সজনের সময় কার্নিভাল করার চিন্তাভাবনা করছে শিলিগুড়ি পুরসভা। এদিন শহরের দীনবন্ধু মঞ্চে পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে আয়োজিত সভায় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান এই ভাবনার কথা জানান। সভায় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, এবার কোভিড বিধি মেনে বিসর্জনের দিন মহানন্দার লালমোহন মৌলিক নিরঞ্জন ঘাটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য সেখানে মঞ্চ করা হবে। এলইডি আলোয় গোটা এলাকা সাজিয়ে তোলা হবে। মঞ্চে লোকসঙ্গীত থেকে লোকনৃত্য, বাউল গান পরিবেশিত হবে। পাশে থাকবে আতশবাজি প্রদর্শনী। ওই আলোয় গোটা এলাকা ঝলমলিয়ে উঠবে। মহানন্দা নদীর পার্বতী ঘাটেও একই ধরনের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারা অনুমোদন দিলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে।
পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, কলকাতার ধাঁচে কার্নিভাল করার মতো জায়গা এখানে নেই। তবে কোভিড মহামারীর জেরে অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই বিসর্জনের দিন সকলকে একটু আনন্দ দিতেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজি প্রদর্শনীর কথা ভাবা হয়েছে। এদিনের সভায় পুরসভার চেয়ারম্যান ছাড়াও বোর্ডের সদস্য অলোক চক্রবর্তী, রঞ্জন সরকার, মানিক দে, পুরসভার কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।