স্কুল খোলার তোড়জোড়! শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পরিবারকেও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা
স্কুল খোলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের পাশাপাশি, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও টিকাকরণ শুরু করছে সরকার। এর জন্য বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা ডিআইদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। জানানো হয়েছে, এই ধরনের ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দিতে হবে। এর জন্য দেওয়া হচ্ছে একটি গুগল ফর্মও। তা পূরণ করে তথ্য আপডেট করে তা অ্যাপ্রুভ করে পাঠাবেন ডিআইরা। তার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত, সরকার পোষিত এবং বেসরকারি, সমস্ত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারই এর আওতায় আসবেন।
খুব নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি কেন্দ্রে। যাঁরা কর্মক্ষেত্রের কাছে কোনও টিকাদান কেন্দ্রে যেতে চান, তাঁরা সেই সুবিধাও পাবেন। এই বিকল্প থাকার ফলে দূরবর্তী জেলায় চাকরি করা শিক্ষক বা তাঁদের পরিবারকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না। এর জন্য বিডিও এবং এসডিও অফিস, পুরসভা এবং পুর কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষও কার্যকরী ভূমিকা নেবে। তারা কুপন বিলির দায়িত্বে থাকবে। সেই কুপন এবং আইডি কার্ড নিয়ে টিকাপ্রদান কেন্দ্রে যেতে হবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের।
রাজ্য সরকারের হিসেব বলছে, সব মিলিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা (পার্শ্বশিক্ষক মিলিয়ে) ৪,৫৯,৪৪০। সেপ্টেম্বর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত টিকার দু’টি ডোজই নিয়ে ফেলেছেন ৩,৬৭,৯৭৪ জন। শুধুমাত্র একটি ডোজ নিয়েছেন ৬০,৩৮৬ জন। আর কোনও ডোজই নিয়েছেন ৩১,০৮০ জন। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে ৯০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীকে এখনও টিকা নিতে হবে। এর সঙ্গে থাকবেন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবেই, সংখ্যাটি দাঁড়াতে পারে কয়েক লক্ষে। তাঁদের টিকাকরণ যত দ্রুত সম্ভব সেরে ফেলাই এখন চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। এঁদের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের টিকাকরণও শুরু হয়ে যাচ্ছে আজ বুধবার থেকে। আর ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে স্কুলপড়ুয়াদের আধার কার্ড তৈরির পাইলট প্রকল্প। ১৮ বছরের কম বয়সিদের টিকাকরণে ছাড় এলেই তা যাতে কার্যকর করে ফেলা যায়, তাই সরকারের এই পরিকল্পনা।