কোন অঙ্কে গোয়ায় ঘাসফুল ফোটাবে তৃণমূল?
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেই বিজেপি-র বিপক্ষে শক্তিশালী দল হিসাবে উঠে আসতে চাইছে তৃণমূল। গোয়ায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই প্যাকের ২০০ জন কর্মী। তাঁরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেও শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে, এর পর রাজনৈতিক লড়াইয়ের প্রাথমিক ধাঁচটা বুঝতে গোয়ায় যেতে পারেন স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে ইঙ্গিত, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ গোয়ায় নির্বাচন হতে পারে। সেখানে কংগ্রেস, বিজেপি বা আম আদমি পার্টি (আপ)-র পাশাপাশি তৃণমূলও লড়াই করতে চায়। ঠিক যেমন পরিকল্পনা রয়েছে তাদের ত্রিপুরা নিয়ে। ২০২৩-এ নির্বাচন উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। সেখানে ইতিমধ্যে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছে তৃণমূল। বার বার সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পুবের ত্রিপুরার পর এ বার তৃণমূলের ভোটকৌশলের নীল নকশায় পশ্চিমের গোয়ার নামও ঢুকে পড়ল।
গোয়া বিধানসভায় মোট ৪০টি আসন। ত্রিপুরার ঠিক অর্ধেক। ২০১৭ সালের নির্বাচনে গোয়ায় কংগ্রেস জিতেছিল ১৭টি আসনে। ১৩টিতে বিজেপি। তার পরেও বিজেপি ওই রাজ্যে সরকার গঠন করে। সেই সমীকরণকেই ‘হাতিয়ার’ করতে চলেছে তৃণমূল। গোয়ার বাসিন্দাদের কাছে এই বার্তাই নিয়ে যেতে চায় তৃণমূল যে, বিজেপি-র ‘শক্তিশালী বিরোধী’ একমাত্র ঘাসফুল শিবির। অন্য বিজেপি-বিরোধী দলকে ভোট দিলে সেই দলের বিধায়ক শিবির পাল্টাতে পারেন। কিন্তু তৃণমূলকে ভোট দিলে তা বিজেপি-বিরোধী শিবিরেই থাকবে।
ইতিমধ্যেই ‘গোনিচি নাভি সকাল’ (গোয়ায় নতুন সকাল)-এর ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। ফেলেইরোর সঙ্গেই জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন দক্ষিণ গোয়ার অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যান্তনিও ক্লোভিস কোস্টা, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলাতদারের ও গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক যতীশ নায়েক।
সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়রা গোয়ার রাজনৈতিক জমি জরিপের কাজও ইতিমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন। পানাজি সহ গোয়ার বিভিন্ন প্রান্তে মমতার ছবি দেওয়া হলুদ রংয়ের ‘গোনিচি নাভি সকাল’ হোর্ডিং টাঙিয়েছে তৃণমূল।