জিতবেন মমতাই, ভোট শেষ হওয়ার আগেই দাবি বিজেপি নেতা জয়ের
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সুনিশ্চিত। এমনটাই দাবি করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও রাজ্য বিজেপি -এর সহ-সভাপতি জয় ব্যানার্জি। ভোট শেষ হওয়ার আগেই খোদ বিজেপি নেতার মুখে এমন উক্তিতে হতবাক রাজনৈতিক মহল। বিজেপির কর্মী হয়েও তাঁর এই দাবির পিছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে বলে সাফাই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ী হওয়ার পিছনে যুক্তি হিসেবে রাজ্য বিজেপি-এর সহ-সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যে ভুল গত বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি করেছিল। সেই একই ভুল এই বারের উপনির্বাচনেও করেছে দল। বিজেপি নেতার দাবি, রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে তিনি বারবার বলেছিলেন, এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে হলে বাঙালি প্রার্থীকে দিয়েই বাংলার মানুষের মন জয় করতে হবে। অবাঙালি প্রার্থী দিয়ে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও তারা একই ভুল করল বলে দাবি জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভবানীপুরে হেভিওয়েট ফাইটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
রাজ্য বিজেপি-এর সহ-সভাপতির দাবি, ভবানীপুর এলাকায় অনেক অবাঙালি থাকলেও তারাও কোনো বাঙালিকেই প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করবেন। কারণ, তারা চার-পাঁচ পুরুষ ধরে কলকাতায় বসবাস করছেন। তারা নিজেরাও নিজেদেরকে বাঙালি বলেই পরিচয় দেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো দুঁদে প্রার্থীর বিরুদ্ধে একজন অবাঙালিকে দাঁড় করানো অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত বলে মত জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি নেতার আক্ষেপ, বিধানসভা নির্বাচনের সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কারণে তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ না করতে পারলেও। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বারংবার বলা সত্ত্বেও তারা তাঁর কথায় কর্ণপাত করেননি।
জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, তিনি বাংলার মাটি ও মানুষকে খুব ভালো চেনেন। তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি বাংলার সমস্ত প্রান্তে ঘুরেছেন। যাত্রা করেছেন। তার সঙ্গে বাংলার মানুষের পছন্দ অপছন্দ বোঝার ক্ষমতা তার অনেক বেশি। এদিনের ভোটদানের হার দেখার পর তাঁর দাবি, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন।
নিজের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশে একটি বার্তাও রেখেছেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ও রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ বিজেপিকে এই রাজ্যে আগে বাঙালি হয়ে উঠতে হবে। দলের ব্যবহার, কর্মসূচি সমস্ত কিছু বাঙালিয়ানার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। নতুন রাজ্য সভাপতি এসেছেন। তিনি শিক্ষিত মানুষ।’ তাঁর আশা, সুকান্ত মজুমদার নিজস্ব চিন্তাভাবনা দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যাতে ভারতীয় জনতা পার্টি তার স্ব-মহিমায় এই রাজ্যে তার জায়গা করে নিতে পারে। পাশাপাশি তিনি সাবধান করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির আত্মসমালোচনা করা কর্তব্য। তা না করা হলে আগামীদিনে পঞ্চায়েত, পৌর নিগমের যে সমস্ত নির্বাচনগুলো আসবে তাতেওবিজেপি-কে হারের মুখ দেখতে হবে।