নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইলে দুটি পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল
বুধবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকে অনাস্থা প্রস্তাবে জিতে একটি করে পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল। পঞ্চায়েতগুলি হল যথাক্রমে ১১ নম্বর আড়রা ও রোহিনী।
নয়াগ্রামের আড়রায় গত পঞ্চায়েত ভোটে মোট ১১টি আসনের মধ্যে বিজেপি পাঁচটি, তৃণমূল চারটি ও নির্দল দু’টি আসনে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি থেকে দু’জন ও একজন নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য বেড়ে হয় সাত। আর বিজেপির কমে হয় তিন ও নির্দলের এক। এই অবস্থায় বিজেপির প্রধান প্রধান সোরেনে বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়। বুধবার পঞ্চায়েত অফিসে ছিল অনাস্থা প্রস্তাবের উপর তলবি সভা। সেখানে বিজেপি সদস্যরা হাজির হননি। ফলে ৭-০ ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়।
আর সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী পঞ্চায়েতেও এদিন বিজেপি প্রধান সারথি সিংয়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের তলবি সভা অনুষ্ঠিত হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে এখানে মোট ১৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ছ’টি ও তৃণমূল সাতটি আসন পায়। সেসময় তৃণমূলের এক সদসকে নিয়ে বিজেপি বোর্ড গঠন করে। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি ছেড়ে তিন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে আনা হয় অনাস্থা প্রস্তাব। এদিন সেই তলবি সভায়ও বিজেপির কোনও সদস্য উপস্থিত হননি। ফলে এখানেও ৯-০ ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল।
সাঁকরাইলের ব্লক তৃণমূল সভাপতি কমলাকান্ত রাউত বলেন, ভুল বুঝে অনেকেই বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এখন উন্নয়নে শামিল হতে তাঁরা তৃণমূলে ফিরছেন। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ বলেন, এসব নতুন কিছু নয়। ওরা অনেক আগেই অনাস্থা এনেছিল। প্রলোভন, ভয় দেখিয়ে আমাদের জেতা পঞ্চায়েতগুলি দখল করছে। দলে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।