খড়দহে ঘাঁটি গেড়েই প্রচারে ঝাঁপাচ্ছেন শোভনদেব
ভবানীপুরের হাই-প্রোফাইল ভোট শেষ। এবার টার্গেট খড়দহ। আগামিকাল, শনিবার মাহাত্মা গান্ধি দিবসকে স্মরণ করেই খড়দহ আসন থেকে প্রচার বা ভোটের লড়াই শুরু করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। মাতৃপক্ষ জুড়ে জনসংযোগ আর প্রচার এই দুটিই সারবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্যের বাকি থাকা চার আসনের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটাতে প্রার্থীকে হবেন তা এখনও শাসক দল না জানালেও, খড়দহে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ দলনেত্রী ৷ ইতিমধ্যেই খড়দহে গিয়ে বৈঠক, জনসংযোগের মত কাজ করছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আগামিকাল, শনিবার থেকে নির্বাচন পর্যন্ত খড়দহে ঘাঁটি গেড়ে থাকবেন তিনি৷ সঙ্গী তার পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৭৭ বছর বয়সে লড়াইয়ে নেমে কয়েক মাস আগে আগে ভবানীপুরে গোহারা হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে। এবং সেখানেই থামেননি। নন্দীগ্রামে সামান্য ভোটে হারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলার আগেই ওই আসনটি হেলায় মমতার জন্য ছেড়ে দেন তিনি। বিগত এক মাস ধরে ভবানীপুরের প্রচারে ব্যস্ত থেকেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দেওয়াল লিখন থেকে শুরু করে, কর্মীসভা, ডোর টু ডোর কিছুই বাদ যায়নি। পাশাপাশি খবর রেখেছেন খড়দহের।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমি খুব খুশি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে পেরেছি। মমতা সারা দেশের নেত্রী। তিনি যত বেশি ভোটে জিতবেন ততই তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি হবে। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেত্রী তিনি। ভবানীপুরের ভোট বাড়বে। খড়দহ থেকে জিতে এসে আমরাও ওর পাশে দাঁড়াব।’’
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দুই পুত্র সায়নদেব ও ঈশানদেব। এই মুহূর্তে সায়নদেব তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক। শোভনের সঙ্গে প্রচারে ছিলেন সায়নদেবও। আগামিকাল থেকে সায়ন সাথে থাকবেন বাবার। ইতিমধ্যেই খড়দহে একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁরা থাকবেন। আগামিকাল, শনিবার একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে। সেখান থেকেই চলবে ভোটের যাবতীয় কাজ।
ভবানীপুরকে তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই বললেন, ‘‘৫৭ শতাংশের ওপর ভোট পড়েছে। এটা যথেষ্ট ভালো। উপনির্বাচনে ভোট পড়ার এটাই ট্রেন্ড।’’ নেত্রীর ভোট শেষ। এবার ভোটে লড়তে হবে তাঁকে। খড়দহ পুনর্নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তিনি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে একাধিকবার ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার অকালপ্রয়াণের পর তাকেই যোগ্যতম হিসেবে বিবেচনা করেছে দল। তবে সেসব নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই নেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের । নেত্রী তাঁকে ভরসা করেছিলেন, বড় ব্যবধানের জয় এনে নেত্রীকেও প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। রবিবারের ভোটের ফল বেরোলে বৃত্তটা সম্পূর্ণ হবে। ইতিমধ্যেই খড়দহ জুড়ে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। সেখানেই এবার ব্যস্ত হয়ে পড়বেন রাজ্যের বর্তমান কৃষি মন্ত্রী।