পুজোর মুখে উত্তরবঙ্গের ৩৮ জোড়া ট্রেন বাতিল, হতাশ পর্যটকরা
একেবারে পুজোর মুখে উত্তরবঙ্গের একের পর এক ট্রেন বাতিল। পরিবার, পরিজন নিয়ে এনজেপির পর বাকি পথটা কীভাবে যাবেন ভেবে কূল কিনারা পাচ্ছেন না অনেকেই। অন্যদিকে পুজোর মুখে ডুয়ার্সে কিংবা পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল অনেকের। সেই পরিকল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দিয়েছে রেলের সিদ্ধান্ত। দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। করোনার দাপটে এতদিন কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেল পর্যটন ব্যবসা। তাঁরা জানিয়েছেন, এবার জঙ্গল খুলেছে। খুলেছে টয় ট্রেন। কিন্তু বাদ সাধল রেলের সিদ্ধান্ত। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাতিল ৩৮ জোড়া ট্রেন। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে কাজের জেরে বাতিল করে হয়েছে একাধিক ট্রেন। কিছু ট্রেনকে অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে যাঁরা ডুয়ার্সে যেতে চান তাঁদের এনজেপিতে এসে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ডুয়ার্সে যেতে হবে। এতে কিছুটা বাড়তি খরচের বোঝা বইতে হবে পর্যটকদের।
একদিন-দুদিন নয় একেবারে ৬দিনের বাতিল ৩৮ জোড়া ট্রেন। রাজধানী সহ ২০টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি ও নিউ আলিপুরদুয়ারের মাঝামাঝি গুমানিহাট, শালবাড়ি, ফালাকাটা স্টেশন সংলগ্ন রেললাইনে কাজ চলছে। তার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত। রেলের দাবি, সাময়িক দুর্ভোগ হলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে লাভই হবে যাত্রীদের।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি রাজধানী সহ ২০টি ট্রেনের রুট ডুয়ার্স-মাথাভাঙা- নিউ কোচবিহার হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরাইঘাট, কামরূপ, কাঞ্চনজঙ্ঘা, ব্রহ্মপুত্র মেল, হাওড়া- গুয়াহাটির মতো অসমগামী একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এদিকে শিয়ালদহ থেকে আলিপুরদুয়ারগামী তিস্তা তোর্সা সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও অন্যতম ভরসা। বাতিল সেই ট্রেন। সেই সঙ্গে নিউ কোচবিহার ও শিয়ালদহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস অন্যতম ভরসা অনেকের কাছেই। সেই ট্রেনও বাতিল হয়ে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ার জংশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিংহ বলেন, ডবল লাইন চালুর জন্য ইন্টারলকিংয়ের কাজ হচ্ছে। সেকারনেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।