দেখা নেই নেতা-কর্মীদের, বিজেপির দপ্তরে নিস্তব্ধতা
এখনও গণনা শেষ হয়ে জয়ী–পরাজিত ঘোষণা করা হয়নি। তবে সর্বত্র এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সেটা পরপর রাউন্ডে ভেসে আসছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাকি দুই প্রার্থী (বিজেপি–সিপিআইএম) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা আশাবাদী। কিন্তু মুখের কথার সঙ্গে বাস্তাবের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং সকাল থেকে বিজেপি পার্টি অফিস খাঁ খাঁ করছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী দেওয়াল লিখন পড়ে ফেলল বিজেপি?
এখন ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে ভোটের গণনা চলছে। টানটান উত্তেজনা রয়েছে। তবে স্নায়ুর লড়াই নেই। ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেন থেকে হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয় এখন পিন পড়ার নীরবতা বিরাজ করছে। যে কজন বিজেপি কর্মীদের আনাগোনা চোখে পড়ছে তাতে সবাই যেন গা ভাসিয়ে দিয়েছে। মনে হচ্ছে তাঁরা ফলাফল জেনেই গিয়েছে। কর্মী–সমর্থকদের ভিড় নেই বললেই চলে। রবিবাসরীয় সকালে শুধু হাতে গোনা বিজেপির মিডিয়া সেলের সদস্য দেখা গিয়েছে। বিজেপির প্রথমসারির কোনও নেতাকেও দেখা যায়নি।
রবিবার সকালে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল গণনাকেন্দ্রে রয়েছেন। মাঝেমধ্যে দৌড়াদৌড়ি করছেন। ঘামছেনও বটে। কারণ ব্যালটের পর ইভিএমে ২ রাউন্ড গণনা শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভবানীপুরে ২ হাজার ৯৭৫ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরেও একই ছবি। অনেকে বলছেন খেলার ফলাফল ৩–০। আর তা কানে যেতেই টেনশন করছেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে গণনা পর্যন্ত বলতে শোনা যায়নি তিনি জিতবেন। বরং মানুষের উপর ভরসা আছে, সিস্টেমের বিরোধী–সহ নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছে। আর আজ তো কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রাজ্যপাল—সর্বত্র নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। তারপর থেকেই বিজেপি পার্টি অফিসের ডিত্র বদলে গিয়েছে।
তবে নির্বাচনের ফল যে বিজেপির জন্য খুব একটা ভাল হবে না সেটা যত সময় গড়াচ্ছে তত স্পষ্ট হয়ে উঠছে। যদি কোনও মিরাকেল না ঘটে তাহলে ফলাফল ৩–০ হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। আর তাই সকাল থেকেই বিজেপির দুই দফতরে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। অনেকে বলছেন, এই ছবিই ফলাফলের আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রাখছে।