আবার ধূলিস্যাৎ বামেরা, তিন কেন্দ্রেই জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীদের
আবার প্রত্যাখ্যাত বামেরা। জয় থেকে বহুদূরে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে পারলেন না ভবানীপুরের বাম সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ঠিকই তবে তার লড়াইটা প্রথম-দ্বিতীয় সঙ্গে নয়, বলা যায় নোটার সঙ্গে হয়েছে। তবে শুধু ভবানীপুর নয়, সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরেও জামানত জব্দ হয়েছে বামেদের।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে প্রথম রাউন্ড শেষে ভোটের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৫। তারপর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের ধারে কাছেও যেতে পারবেন না সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব। গণনা যত এগিয়েছে, ততোই বামেদের দেউলিয়া দশা নজরে এসেছে। ১১তম রাউন্ডের পর শ্রীজীব ১৫০০ ভোটের গণ্ডি পার করেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত ৪২২৬ ভোট পান শ্রীজীব। আর সেখানে নোটায় ভোট পড়ে ১৪৫৩টি। অর্থাৎ নোটার সঙ্গে কার্যত লড়তে হয়েছে শ্রীজীবকে।
কত বন্দোপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪,৭০৯টি ভোট। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পান ২৬,৩২০টি ভোট। সেখানে পাঁচ অংকের বহুদূরে শ্রীজীবের প্রাপ্ত ভোট ৪২২৬। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাঁর।
তবে শুধু শ্রীজীবই নন, যে দু জায়গায় নির্বাচন হয়েছিল- সেই জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জও জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বাম প্রার্থীদের।
৩৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরে মাত্র ১০ বছরে ক্ষমতা থেকে দূরে গিয়ে শুধু শূন্যই নয়, ভোট শতাংশেও অনেক পিছিয়ে পড়েছে বামেরা। ভবানীপুরে বাম প্রার্থী শ্রীজীবের ভোট শতাংশ ৩.৫৬। এবার বিধানসভা নির্বাচনে তরুণ মুখের ওপর জোর দিয়েছিল সিপিআইএম। কিন্তু সেই ফর্মুলা ব্যর্থ হয়েছে। আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকেও লাল পতাকা পকেটে পুরেই বাড়ি ফিরতে হয়।