মহালয়ার পরদিনই বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অক্টোবরেই রোম যাওয়ার কথা ছিল। ৬ এবং এবং ৭ অক্টোবর ইতালির রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শান্তি সম্মেলন। তাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কমিনিউনিটি অফ সন্ত এগিডিও। তবে সেই সফরের অনুমতি দেয়নি ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তৃণমূলনেত্রীর রোমসফর কেন আটকানো হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সেই দুঃখ এবার ভুলে নতুন পথে এগোল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবারই ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল সামনে এসেছে। তাতে বিপুল ভোটে জিতেছেন তৃণমূলনেত্রী। ঠিক হয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে শপথ নেবেন নেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বুধবার মহালায়। অর্থাৎ তারপর থেকেই সূচনা হবে দেবীপক্ষের। আর দেবীপক্ষের শুরুতেই বিধায়ক হিসাবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভবানীপুরে চমকে দেওয়া ফল
এবার নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে এই কেন্দ্র থেকে হারিয়েছিলেন ২৮, ৭১৯ ভোটে। এর আগে ভবানীপুর কেন্দ্রে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জেতার রেকর্ড ছিল তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সীর। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূলের সুব্রত বক্সী জিতেছিলেন ৪৯,৯৩৬ ভোটে৷ আর ওই বছরই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ৫৪,২১৩ ভোটে৷ এদিন ভেঙে ফেললেন নিজের সেই নজিরও। এবার ভবানীপুর থেকে মমতা জিতলেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে।
সব কটি ওয়ার্ডেই জয় মমতার
দীর্ঘ ১০ বছর পর ভবানীপুর বিধানসভার অধীন কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ডের সবকটিতেই জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজের এমন জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই তৃপ্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে জয়ের পরেই প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ভবানীপুরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। ২০০৯ সালে ডিলিমিটেশনের পর প্রথমবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভায় ভোট হয়। সেবার প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ওয়ার্ডেই জিতেছিলেন। ২০১০ সালের পুরভোটেও ভবানীপুরের সবকটি ওয়ার্ডেই জয় পায় তৃণমূল। ২০১১ সালে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বক্সীও সব ওয়ার্ড থেকে ভালো ব্যবধানে জিতেছিলেন। ওই বছরই সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে সবকটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিলেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রথম ধাক্কা খায় তৃণমূল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুর বিধানসভায় ৭৭ ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ড বাদ দিয়ে সবকটি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজের ওয়ার্ডেও বিজেপি এগিয় গিয়েছিল ৪৯৬ ভোটে। তবে একুশের ভোটে সেই ব্যবধান মেকআপ হয়ে যায়। ২টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার সবকটি ওয়ার্ডেই নিজের জয়ের ধারা ফিরিয়ে নিয়ে এলেন তৃণমূলনেত্রী।