এক সপ্তাহে টানা চারবার বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম, নাভিশ্বাস সাধারণের
অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে রবিবার নয়া মাইলস্টোন ছুঁলো জ্বালানির মূল্য। প্রথমবার কলকাতায় পেট্রলের মূল্য ছাড়াল ১০৩ টাকার গণ্ডি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার জেরেই এবার ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ও ডিজেল (Petrol & Diesel Price) মূল্য।
শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। ফলে গতকালের পর এদিনও বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম। গোটা দেশে আজ লিটারপ্রতি পেট্রলে মূল্য বেড়েছে ২০-৩০ পয়সা। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে চলতি চতুর্থবার দাম বাড়ল পেট্রোপণ্যের।
এদিন কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৩০ পয়সা বেড়ে হল ১০৩ টাকা ৭ পয়সা। প্রথমবার শহরে পেট্রলমূল্য ১০৩ টাকার গণ্ডি পেরল। ডিজেলের মূল্য লিটারপিছু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩.৮৭ টাকা। এদিকে রাজধানী দিল্লিতেও আজ পেট্রলের মূল্য সর্বকালীন সর্বোচ্চ। আজ এক লিটার পেট্রল কিনতে খরচ ১০২.৩৯ টাকা। ডিজেল মূল্য ৯০.৭৭ টাকা। জ্বালানির মূল্যে আরও নাজেহাল মুম্বইবাসী। বাণিজ্যনগরীতে আজ লিটারপ্রতি পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য যথাক্রমে ১০৮.৪৩ ও ৯৮.৪৮ টাকা। ভোপালে জ্বালানির মূল্য আরও বেশি। এদিন সেখানে এক লিটার পেট্রল ও ডিজেল মিলবে ১১০.৬৩ এবং ৯৯.৪১ টাকার বিনিময়ে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই লাগাতার বাড়া শুরু করে পেট্রল ডিজেলের দাম। এই মুহূর্তে জ্বালানির দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ। কেন্দ্র দাবি করছে, করোনার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার জন্য ভারতের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে হচ্ছে। সেটা যেমন সত্যি, তেমনই এই মুহূর্তে পেট্রপণ্যের উপর সরকারি শুল্ক যে সর্বোচ্চ, সেটাও বাস্তব চিত্র।
পেট্রল-ডিজেলের মুল্যের প্রশ্নে কেন্দ্র এখন জিএসটি (GST) কাউন্সিলকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। নির্মলা সীতারমণরা (Nirmala Sitharaman) দাবি করছেন, পেট্রপণ্যের দাম কমাতে হলে জিএসটির আওতায় আনতে হবে। কিন্তু জিএসটি কাউন্সিল সেই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিচ্ছে না। কেন্দ্র পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে চাইলেও বিরোধীদের হাতে থাকা রাজ্যগুলি তাতে বাধা দিচ্ছে। যদিও, জিএসটি কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকে বিরোধীদের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে বাধা দিয়েছে।