পুজোর আগে ফের চালু হল বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শনিবার বিষ্ণুপুরে পোড়ামাটির হাট পুনরায় চালু হয়। রবিবারও এই হাট চলবে। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে হাটের সূচনা করেন বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপকুমার দত্ত। দীর্ঘদিন বাদে হাটে দোকান দিতে পেরে হস্তশিল্পীরা ভীষণ খুশি। করোনার জেরে জড়তা কাটিয়ে বিষ্ণুপুরের নাগরিকরাও সাপ্তাহিক হাটে এদিন আনন্দ উপভোগ করেন। ধামসা মাদলের বোলে আদিবাসী রমণীদের নৃত্যের তালে এদিন তাঁরা পা মেলান। মহকুমা শাসক বলেন, হাটে বসার জন্য হস্তশিল্পীদের করোনার ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট জমা নেওয়া হয়েছে। এখন অন্যান্য অনুষ্ঠান না হলেও হাটে আদিবাসী নৃত্যের অনুষ্ঠান চলবে।
উল্লেখ্য, বিষ্ণুপুরে হস্তশিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্য তিনবছর আগে ঐতিহাসিক জোড়মন্দির প্রাঙ্গনে প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক ‘পোড়ামাটির হাট’ চালু হয়। হাটে টেরাকোটার সামগ্রী, শঙ্খ, কাঁসা, কারু, কাঁথাস্টিচ সহ নানা ধরনের হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে শিল্পীরা বসেন। পোড়ামাটির হাটকে আর পাঁচটা হাটের চেয়ে একটু ভিন্ন স্বাদের করা হয়। দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জনের জন্য ডুয়েট সাইকেল, অ্যাডভেঞ্চার বাইকে চড়ার সুবিধা পাওয়া যায়। নিশ্চিন্তে শুয়ে দোল খাওয়ার জন্য গাছে হ্যামক টাঙানো হয়। অল্পদিনেই পোড়ামাটির হাট বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু করোনোর প্রথম ঢেউয়ের দাপটে ২০২০ সালের মার্চ মাসে হাট বন্ধ হয়। ওই বছর নভেম্বরে তা পুনরায় শুরু হয়। তবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে ফের বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। তাই শনিবার পোড়ামাটির হাট পুনরায় চালু হয়। হস্তশিল্পীদের একাংশ বলেন, করোনার কারণে হাট বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ঘরে বসেছিলাম। এদিন থেকে তা খোলায় আমরা ভীষণ খুশি হয়েছি।