রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুর অঞ্চলে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প রূপায়নে উদ্যোগী রাজ্য সরকার

October 3, 2021 | 2 min read

‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। গরিব মানুষের মাথা গোঁজার জন্য পাকা ছাদ তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আর তার জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত ব্লকের পাশাপাশিতে পুরসভাগুলিতেও জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপভোক্তাদের রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় ডেকে তাঁদের এই প্রকল্প সম্পর্কে বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে।পূর্ব বর্ধমান জেলার পুরসভাগুলির মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দাঁইহাট পুরসভা এগিয়ে রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক এসে দাঁইহাট পুরসভায় উপভোক্তাদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করে গিয়েছেন। তাঁরা এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে দাঁইহাট যে এগিয়ে রয়েছে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর (সুডা)-এর এসএলটিসি সমর নন্দী বলেন, দাঁইহাট শহর পুরানো হলেও বাংলার বাড়ি রূপায়ণের ক্ষেত্রে পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। যেভাবে শহরে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হচ্ছে তা খুবই সন্তোষজনক। তবে এবার এই প্রকল্পে রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে আগের থেকে বেশি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২২ সালকে সামনে রেখে। 

জানা গিয়েছে, উপভোক্তাদের এই বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অনেক নিয়মই অজানা। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে পুরসভাগুলির অসুবিধা হচ্ছে। উপভোক্তাদের ডেকে পুরসভাগুলিতে সচেতনতা শিবির করা হচ্ছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের সচেতনতার জন্য সাড়ে তিনহাজার মিটিং করা হবে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের পুর এলাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মোট এক লক্ষ ৫৩ হাজার বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আরও ৭০ হাজার।  আরও জানা গিয়েছে, দাঁইহাট শহরে মোট ১৪টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। দাঁইহাট শহরে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট দু’হাজার ৮৪৩টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে দাঁইহাট শহরে এক হাজার ৬০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তবে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ৬৪৫টি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আর ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে ৫৬৩টি বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। 

এ বিষয়ে দাঁইহাট পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান শিশিরকুমার মণ্ডল বলেন, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে বদ্ধ পরিকর। বাড়ি তৈরির জন্য যা অনুমোদন পাওয়া যায় আমরা তা সঙ্গে সঙ্গেই রূপায়ণ করি। আমরা জেলার অন্যান্য পুরসভার তুলনায় এই প্রকল্প রূপায়ণ সহ সবদিক থেকেই এগিয়ে রয়েছি। 

পুরসভার এক আধিকারিক জানান, উপভোক্তাদের এই প্রকল্প সম্পর্কে সবকিছু জানতে হবে। তাঁদের আরও সচেতন থাকতে হবে। কারণ অনেকে বাড়ি তৈরির জন্য আবেদন করার সময় যে জায়গা দেখান, পরবর্তীকালে বাড়ি তৈরির সময় জায়গা বদল হয়ে যায়। তাতে জিও ট্যাগ করতে চরম সমস্যা দেখা দেয়। দাঁইহাটে শিবিরে এসে সুডা-র এক আধিকারিক রাজ্যজুড়ে এমনই অসুবিধার কথা তুলে ধরেন। উপভোক্তাদের বোঝান হয়, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তি বা পরিবারের নিজস্ব জমিতে সরকারি সাহায্যে নিজেরাই বাড়ি নির্মাণ করবেন। তথ্য যাচাই করে আবেদনকারী সরকারি বাড়ি পাওয়ার যোগ্য কিনা তা দেখা হবে। ‘স্ব-স্থানে বস্তি পুর্নবাসন’-এর আওতায় থাকা ব্যক্তি বা পরিবার যদি সেই প্রকল্পে কোনও সুবিধা না নিয়ে থাকেন তবে তাঁর অন্য জায়গায় জমি থাকলে সেই ব্যক্তি বা পরিবার বাড়ি পেতে পারেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Banglar Bari

আরো দেখুন