পারল না মহামেডান, ১৩০ তম ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়া
তীরে এসে ডুবল তরী। ধারেভারে এগিয়ে থাকা এফসি গোয়ার সঙ্গে তুল্যমূল্য লড়াই করেও অতিরিক্ত সময়ে এডু বেদিয়ার গোলে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে হেরে গেল মহামেডান স্পোর্টিং। রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল সাদা-কালো ব্রিগেডকে।
এবারের ডুরান্ডে বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি ছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর ডুরান্ড কাপে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছিলেন সমর্থকরা। ফাইনালেও তাই মহামেডানকে সমর্থন জানাতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ হাজার দর্শক। এমনকী লাল-হলুদ এবং সবুজ-মেরুনের সমর্থকদেরও অনেকেই মাঠ ভরিয়েছিলেন।
তবে ম্যাচে ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়েছিল এফসি গোয়া। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল তাঁরা। ফাইনালের আগে ডুরান্ড কাপে পাঁচ ম্যাচে ১৬ গোল করেছিল গোয়া। তাই ফাইনালেও তাঁদেরই অনেকে ফেভারিট হিসেবে ধরেছিলেন। অন্যদিকে, দুরন্ত ছন্দে ছিলেন প্লাজা-মার্কাস জোসেফরাও। যদিও ফাইনালে মহামেডানকে জিততে গেলে অবশ্যই বাড়তি পরিশ্রম করতে হত। তাছাড়া গোয়ানিজরা এখন প্রি-সিজনের জন্য ব্যস্ত। নিজেদের গুছিয়ে তুলতে পারেনি। তাই অনেকেই ভেবেছিলেন মহামেডান বিনা যুদ্ধে মাঠ ছাড়বে না।
ম্যাচে হলও ঠিক তাই। প্রথমার্ধ এবং দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে মূলত আক্রমণ-প্রতি আক্রমণেই খেলা চলতে থাকে। তবে সুযোগ বেশি পেয়েছিল এফসি গোয়াই। কিছু কিছু সময় অবশ্য গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল মহামেডানও। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা গোলশূন্যই ছিল। এরপরই খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর এই অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এডু বেদিয়া। যা আর পরবর্তীতে শোধ করতে পারেনি মহামেডান। ফলে রানার্স হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় সাদা-কালো ব্রিগেডকে।