দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

ডিভিসির ছাড়া জলে বর্ধমানে নষ্ট ৩৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল

October 4, 2021 | 2 min read

ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছে রাজ্যের শস্যভাণ্ডার পূর্ব বর্ধমান। জেলার মোট ৩৬ হাজার ৫২৩ হেক্টর জমির ফসলের সার্বিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রধানত আমন ধান ও সব্জি চাষের ক্ষতির পরিমাণ সর্বাধিক। দামোদর ও অজয়ের প্লাবনে আট ব্লকের প্রায় ২৪০টি মৌজার কৃষিজমির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে একটি রিপোর্টে উল্লেখ করছেন জেলার কৃষি অধিকর্তা। সেই রিপোর্টই নবান্নে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, জামালপুর, রায়না-২, কেতুগ্রাম-১ ও ২, আউশগ্রাম-১ ও ২, কাটোয়া-১ ও মঙ্গলকোট ব্লকর ৩৫ হাজার ৪৭৭ হেক্টর জমির আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। ৬৮০ হেক্টর জমির সব্জির ক্ষতি হতে পারে। জেলার বেশকিছু অংশে আউশ ধান চাষ হয়। সেখানকার ৩২১ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খরিফ মরশুমের জন্য বীজতলা তৈরি হয় এই সময়। জেলার প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করছিলেন চাষিরা। যার মধ্যে ৭০ হেক্টর বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গিয়েছে।

জেলার কৃষি বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রাথমিক একটি রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী জেলার সাড়ে ৩৬ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলে ধরা হচ্ছে।

অজয়ের জলে বন্যা পরিস্থিতিতে মঙ্গলকোট ব্লকে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট পাঠিয়ে ব্লক থেকে জেলায় পাঠানো হয়। মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম এলাকার গা ঘেঁসে অজয় নদ প্রবাহিত হয়েছে। তাই এই ব্লকগুলিতে ফসল নষ্টের পরিমাণ বেশি। এখন আমন ধানে আর কিছুদিন পরেই ফুল ফোটার কথা। এই অবস্থায় পুরো ধানজমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে চাষিরা জানান।

জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, দামোদর ও অজয়ের জলে প্লাবিত হওয়া কৃষিজমির ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে। কারণ, ইতিমধ্যেই জল নামতে শুরু করেছে। খরিফ মরশুমের জন্য তৈরি বীজতলা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আমন ধান চাষে বেশকিছু জায়গায় দ্রুত জল নামার ফলে খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে সব্জিচাষে এই জমা জলের বেশ প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে।

কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম-১ ও ২, কেতুগ্রাম-১ ও ২ এবং কাটোয়া-১ ব্লকের ২৯টি অঞ্চলের মোট ২৩২টি মৌজায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

কাটোয়া-১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা আজমীর মণ্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি আরও কয়েকদিন পর স্পষ্টভাবে জানা যাবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Flood, #dvc

আরো দেখুন