হাইকোর্টের নির্দেশে বিধানসভার স্পিকারের সামনে হাজিরা দিল সিবিআই-ইডি
শেষ পর্যন্ত ঢোঁক গিলতে হল কেন্দ্রীয় ২ সংস্থাকে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিধানসভার অধ্যক্ষের সামনে হাজির হতে হল সিবিআই, ইডির আধিকারিকদের। আদালতের নির্দেশে তাঁদের যেতে হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায় চাপে পড়ে সিবিআই। স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ। তাঁর তলবে যেতেই হবে জানিয়ে দেয় আদালত। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকদের স্পিকারের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে নারদ কান্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিবিআই। স্পিকারকে না জানিয়ে কিভাবে ওই পদক্ষেপ করা হল? প্রশ্ন তুলে সিবিআই আধিকারিকদের ৪ অক্টোবর দুপুর ১টায় বিধানসভায় ডেকে পাঠান স্পিকার। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে হাজির আনা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলায় হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, স্পিকার একটি সাংবিধানিক পদ তিনি ডাকলে হাজিরা দিতেই হবে। এদিনই বিকেল চারটে নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকদের স্পিকারের সামনে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
সেইমতো নির্ধারিত সময়ের আগেই সিবিআইয়ের ডিএসপি এসকে সিং এর নেতৃত্বে পাঁচজন সিবিআই আধিকারিক পৌঁছন। আর সিবিআইয়ের টিম হাজির হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আচমকা সেখানে যান ইডির দুই প্রতিনিধিও। কারণ, সোমবার সকালেই চিঠি দিয়ে এই এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছিল, তাদের পক্ষের সশরীরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
সিবিআই আধিকারিকরা যান বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে। আধ ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে ছিলেন তাঁরা। ইডির আধিকারিকরা পৌঁছন বিধানসভা ভবনে। তাঁরাও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে একই সময় ছিলেন। তবে আলোচনার এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে খুলতে চাননি আধিকারিকরা।