সুখবর! পুজোর আগেই শেষ হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ
শেষ হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। কাটছে মহামারী। টানা ১০০ দিন সংক্রমণের পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশের কম। গতকাল শেষ হওয়া সপ্তাহে যা ছিল মাত্র ১.৬৬%। সুস্থতার হারও ৯৭.৮৭%। সক্রিয় আক্রান্তও এক শতাংশের কম। মাত্র ০.৮০%। আর গোটা দেশে করোনার এই চিত্র দেখেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হচ্ছে বলেই গবেষকদের মত। ফলে দুর্গাপুজো সহ উৎসব মুরশুম শুরুর মুখে সাধারণের জন্য এটি সুখবর। যদিও দ্বিতীয় ঢেউ শেষের মুখ বলে এখনই লাগামছাড়া হওয়া যাবে না বলে সতর্ক করছে কেন্দ্র।
করোনার ভাইরাস এখনও আমাদের চারপাশে ঘুরছে। তবে হাজার হাজার মানুষের সংক্রমণ হয়ে যাওয়া এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে ভাইরাস মানুষের শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারছে না। তবে সুযোগ খুঁজছেই। তাই অযথা ভিড় বা কোভিড-বিধি ভুললেই যেকোনও মুহূর্তে ফের আক্রমণ হানতে পারে কোভিডের ভাইরাস। গবেষকদের মতে দেশ জুড়ে সার্বিকভাবে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে বসলেও, সরকার এখনই তা ফলাও করে বলতে চাইছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শীর্ষস্তর থেকে বলা হচ্ছে, সরকারিভাবে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ বললেই মানুষ লাগামছাড়া হয়ে যাবে। তাই সংক্রমণ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাধারণের মনে সামান্য ভয় ঢুকিয়ে রাখতেই হবে।
সাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও সার্বিকভাবে গোটা দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা। তিনি বলেন, ‘কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, মিজোরাম, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো কয়েকটি রাজ্যে এখনও সংক্রমণের ঢেউ উঠছে-নামছে। তবে সার্বিকভাবে গোটা দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হচ্ছে বলা যেতেই পারে।’
গোটা দেশে এখন সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৫৭। যা গত ১৯৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কেরল, মহারাষ্ট্রের মতো কয়েকটি রাজ্যের কারণে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা গড়ে ২২-২৪ হাজার দেখালেও সার্বিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দেশের ৬৬ কোটিরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছাড়াও পেয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লক্ষের বেশি নাগরিক। যদিও এই রোগের কারণেই গত ১৯ মাসে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮১৭ জন। তাই সংক্রমণের হার কমলেও সাবধানতার মার নেই, বলছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি বলেন, পজিটিভিটির হার কম মানে কিন্তু টেস্ট কম হচ্ছে, তা নয়। করোনা সন্দেহে এখনও প্রতিদিন ১৫-১৬ লক্ষ টেস্ট হচ্ছে। তবে রাজ্যগুলির উদ্যোগ এবং সাধারণ মানুষের সচেতনতার কারণেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে।