প্লাস্টিক নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার
প্লাস্টিক নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন জায়গায় জল জমার পিছনে অন্যতম কালপ্রিট হল প্লাস্টিক। এই বর্জ্যেই আটকে যাচ্ছে নর্দমার মুখ। ফলে রুদ্ধ হচ্ছে জল বেরনোর পথ। জল জমায় বিপত্তি বাড়ছে শহর ও শহরতলিতে। তাই ১ অক্টোবর থেকে ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে এই নিয়ম কার্যকর করতে বলা হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ণ দপ্তর পুরসভাগুলিকে ওই নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছে। যাঁরা এই নিয়ম মানবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সম্প্রতি পুর ও নগরোন্নয়ণ দপ্তর, পরিবেশ দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্লাস্টিক বন্ধে তিনি কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আগে ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর এতদিন নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা বাড়িয়ে ৭৫ মাইক্রন করা হল। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সম্প্রতি এই নির্দেশ জারি করে। সেই নির্দেশ মেনেই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই সব পুরসভাকে বলেছি, ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক যাতে কেউ ব্যবহার না করে, সেদিকটি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। প্লাস্টিকের কারণেই নর্দমাগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জল যেতে পারছে না। প্লাস্টিক বন্ধে সবাইকেই উদ্যোগী হতে হবে। বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় করতে হবে প্রচার।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের মাস কাটলেই খাল সংস্কারের কাজে হাত দেবে রাজ্য সরকার। এখন সব খালই টইটুম্বুর। শীতের মুখে জল কমলে তোলা হবে পলি। প্রতিটি খালেই ভাসছে প্লাস্টিক। এখন খাল পরিদর্শনের কাজ চলছে। কেষ্টপুর, বাগজোলা, চড়িয়াল সহ সব খালই সংস্কার করা হবে এবং লকগেট সারানো হবে। চলছে ডিপিআর তৈরির কাজ।
সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, রাজ্যে নদী বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। এবার অতিবৃষ্টির ফলে বহু জায়গায় বাঁধ উপচে জল চলে এসেছে গ্রামে। ভেঙেছে কয়েকটি বাঁধও। সেই সব বাঁধ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামত করা হচ্ছে।