দুর্গাপুজো করা নিয়ে মতবিরোধ শুরু দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে
এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ। রাজ্য বিজেপির অন্দরে এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে রাত পোহালেই মহালয়া। সুতরাং বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। গতবছর বিজেপি দুর্গাপুজো করেছিল। তখন মনে আশা ছিল বাংলার ক্ষমতায় আসবেন তাঁরা। কিন্তু সেসব এখন অতীত। উলটে তিন কেন্দ্রেই গোহারা হয়েছে বিজেপি। আর তারপর থেকেই দুর্গাপুজো করা নিয়ে মতবিরোধ শুরু বিজেপির অন্দরে। দিলীপ ঘোষ এখনও পুজোয় বিশেষ আগ্রহী নন। আবার সুকান্ত মজুমদার ঘটা করে পুজোর পক্ষে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস আবহে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সল্টলেকের ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিলেন বিজেপির নেতা–কর্মীরা। নেতারা ধুতি–পাঞ্জাবি আর নেত্রীরা শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন। আর বাঙালি বেশে দুর্গাপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদী। একুশের নির্বাচনের পরাজয়ের পর পুজো নিয়ে সংশয় ছিল। তারপর ভবানীপুর–সামশেরগঞ্জ–জঙ্গিপুরে শোচনীয় পরাজয়ের তা করতে রাজি ছিলেন না বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু বিজেপির রাজ্য সভাপতি সেটা করতেই চান। এই নিয়ে শুরু হয়েছে মতবিরোধ।
তবে গত সপ্তাহে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এবারও পুজো করা হবে ইজেডসিসিতে। অত্যন্ত ছোট করে। কোনও আড়ম্বর থাকবে না। পুজো বন্ধ করলে মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পুজো করার পক্ষে আছেন তিনি। কিন্তু দিলীপ ঘোষ আর এইসব চাইছেন না। সে কথা তিনি দলের অন্দরে জানিয়েছেন। তখন থেকেই বিরোধের সূত্রপাত।
এখন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তীব্র মতপার্থক্যের মধ্যেই হতে চলেছে বিজেপির দুর্গাপুজো বলে সূত্রের খবর। তবে সেখানে দিলীপ ঘোষ উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। নিয়ম অনুযায়ী, একবার পুজোর সংকল্প করা হলে পরপর তিন বছর দুর্গাপুজো করতেই হয়।