গোসাবা উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে হিমসিম খাচ্ছে বিজেপি
গোসাবায় বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে রীতিমতো ফাঁপরে বিজেপি। সোমবার রাত পর্যন্ত প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। গত বিধানসভা নির্বাচনে যে দলবদলু পদ্ম প্রতীকে দাঁড়িয়েছিলেন, ভোট মিটতেই তিনি ফিরে গিয়েছেন পুরনো দলে। ফলে ব্যাকফুটে বিজেপি।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো লড়াকু কোনও স্থানীয় মুখ বিজেপিতে নেই বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে দলের সাংগঠনিক জেলার নেতারা স্থানীয় কাউকেই প্রার্থী করার জন্য দরবার করেছেন শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলবদলু নেতাকে সামনে রেখে লড়াই করেছিল বিজেপি। তাতে কিছুটা হলেও সুবিধা পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কারণ বিজেপির নিজস্ব ভোটের সঙ্গে প্রার্থীর অনুগামীদের ভোটও পড়েছিল পদ্মে। সব মিলিয়ে গোসাবার ৩২৬টি বুথের মধ্যে ১১৫টিতে এগিয়ে যায় বিজেপি। উপনির্বাচনে এই পরিসংখ্যানকে ধরেই ময়দানে নামতে চাইছেন বিজেপি’র নেতা-কর্মীরা। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। পরাজিত প্রার্থী এখন তৃণমূলে। তাঁর অনুগামীও ফিরে এসেছেন পুরনো দলে। ফলে এবার অতগুলি বুথে তারা জয় ধরে রাখতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এদিকে, যে ১১৫টি বুথে জোড়াফুল পিছিয়ে ছিল, সেখানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ বাড়ানো হবে। ভুল-ত্রুটি থাকলে তা শুধরে নিতে হবে। উন্নয়নের সঙ্গে থাকার জন্য মানুষকে বোঝাতে হবে।
তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা কেন্দ্র করে দেওয়ায় দলের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমে পড়েছেন। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লেখার কাজ। আজ মঙ্গলবার থেকে প্রচার শুরু করার কথা তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডলের। বামেরা তাদের পুরনো প্রার্থীকেই ফের টিকিট দিয়েছে। সেই জায়গায় কয়েক যোজন পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। তাহলে কি যোগ্য প্রার্থীর অভাব রয়েছে এই দ্বীপাঞ্চলে? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বারুইপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। তবে আমরা এলাকার কাউকে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়েছি। আমরাও এলাকায় কর্মী বৈঠক শুরু করেছি। প্রার্থীর নাম ঘোষণা হলেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন নেতা-কর্মীরা।
নির্বাচনের আগে প্রার্থী ঠিক না করে সংগঠন সাজাতে তৎপর রাজ্য বিজেপি