পুজোর মুখে ফের বাড়ল পেট্রল-ডিজেলের দাম
পুজোর ঠিক মুখে, মহালয়ার আগে ফের পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়াল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বাড়ানো হল ২৯ পয়সা। ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বেড়েছে।
দাম বাড়ানোর জেরে আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারে ১০৩ টাকা ৩৬ পয়সা হল। ডিজেলের নতুন দাম হল লিটারে ৯৪ টাকা ১৭ পয়সা।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর– পরপর তিনদিন বেড়েছিল জ্বালানির দাম। করোনা পরিস্থিতিতে যখন নাগরিকদের পকেটে টান পড়েছে, সেই সময় ফের জ্বালানির দাম বাড়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। লাগাতার এইভাবে জ্বালানির দাম বেড়ে চলায় মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহণ খরচ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ার সম্ভাবনা। ফলে পুজোর মুখে বাড়তে পারে সবরকম জিনিসপত্রের দামও। এসব নিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
শুধু তাই নয়। গতকাল বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়। ১৯ কেজি বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় বাড়ে ৩৫ টাকা। যার ফলে, কলকাতায় বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ১৮০৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ফলে পুজোর সময় বাড়তে পারে রেস্তোরাঁয় খাবার খরচ। সাধারণ মানুষের মতো সমস্যায় ব্যবসায়ীরাও।
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক গ্যাসের ৬২ শতাংশ দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরে সিএনজি-র দামও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। একইভাবে বিদ্যুত্ উত্পাদন, সার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক গ্যাস। ফলে সারের দামও বাড়তে পারে।
করোনা আবহে লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজ হারিয়েছেন। হাতে টাকা নেই। তার ওপর অগ্নিমূল্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এসবের মধ্যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্তর।
এই পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বাড়ছে জ্বালানির দাম। দাম বৃদ্ধি নিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে রাজনীতি। জ্বালানির দাম নিয়ে তরজায় জড়িয়েছ সব রাজনৈতিক দলই। কিন্তু স্বস্তিটা মিলবে কবে? জানতে চাইছে সাধারণ মানুষ।