পুজোর আগেই ৬০০ হিমঘরের ৭২০০ স্থায়ী কর্মীর বেতন, বোনাস বাড়ছে
রাজ্যের হিমঘর কর্মচারীদের জন্য পুজোর মুখে সুখবর। প্রায় ৬০০ হিমঘরের সঙ্গে যুক্ত ৭,২০০ স্থায়ী কর্মীর বেতন এবং বোনাস দুইই বাড়ছে। বেতন বাড়ছে ন্যূনতম ১৮০০ টাকা। বোনাস বাড়ছে ৮০০ টাকা। বর্ধিত হারে জানুয়ারি থেকে মোট ন’মাসের বকেয়া বেতনও পাবেন কর্মীরা। মঙ্গলবার শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার উপস্থিতিতে রাজ্য সরকার, হিমঘর মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনগুলির নেতৃত্বের মধ্যে এক ত্রিপাক্ষিক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এই নয়া চুক্তির ভিত্তিতেই কর্মীরা বেতন ও বোনাস পাবেন।
নয়া বেতন চুক্তি নিয়ে হিমঘর মালিক ও কর্মচারী সংগঠনগুলির মধ্যে গত সপ্তাহে একদিন বৈঠক হয় মন্ত্রীর ঘরে। কিন্তু দু’পক্ষই তাদের বক্তব্যে অনড় থাকায় সেদিন বৈঠক নিষ্ফলা থাকে। এরপর মন্ত্রী আলাদাভাবে দু’পক্ষের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে আলোচনা চালান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ফয়সালায় আসার জন্য। শেষপর্যন্ত এদিন দু’পক্ষকে ফের ত্রিপাক্ষিক ডাকেন তিনি। মন্ত্রীর প্রস্তাবে সেই আলোচনাতেই রফাসূত্র মেলে। চুক্তিপত্রেও সইসাবুদ করেন সব পক্ষের প্রতিনিধিরা। শ্রম কমিশনার জাভেদ আখতার, অতিরিক্ত কমিশনার শর্মিলা খাটুয়ার মতো পদস্থ আধিকারিকরা গোটা প্রক্রিয়ায় হাজির ছিলেন। তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির অশোক পালোধি ও মনোজ চক্রবর্তী, সিটুর কিঙ্কর পোশাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন কর্মচারীদের তরফে। মালিকপক্ষের সংগঠনের তরফে হাজির ছিলেন পতিতপাবন দেব, তরুণকান্তি ঘোষ প্রমুখ।
চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর শ্রমমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে এনিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। তবে শেষপর্যন্ত মালিক ও কর্মচারী সংগঠন ঐক্যমতে পৌঁছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমি সন্তুষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, রাজ্যের ছোট-বড় সব ধরনের শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে চলুক। একই সঙ্গে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থও যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় তার দিকেও তাঁর সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তাঁর সেই বার্তাকে সামনে রেখেই এদিন এই চুক্তি করা হয়েছে। সব পক্ষকেই এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি সরকারের তরফে।