রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ফেসবুক বন্ধ হলে ‘শূন্য’ পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে, সিপিএম-কে খোঁচা দেবাংশুর

October 6, 2021 | 3 min read

প্রায় আট ঘণ্টা ধরে বিশ্বজুড়ে বন্ধ ছিল ফেসবুক (Facebook)। স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের পরিষেবা। আর তাতেই ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে গিয়েছিল কোটি কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের। পরিষেবা কখন চালু হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার পাশাপাশি টুইটার জুড়ে চলছিল মিমের বন্যা। ফেসভুক বন্ধ হওয়ায় পুরনো দিনের স্মৃতিচারণায় ফিরে গিয়েছিলেন অনেকে। এরই মধ্যে একাধিক মিম শেয়ার হতে থাকে বঙ্গ বামেদের নিয়েও। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন, বামেদের বিপ্লব তো আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালেই সীমিত। ফলে ফেসবুক বন্ধ হলে ‘শূন্য’ পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। এই সুযোগে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না দেবাংশু ভট্টাচার্যও (Debangshu Bhattacharya)। CPIM-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে বসলেন খোদ মার্ক জুকারবার্গকে (Mark Zuckerberg)।

debangshu bhattacharya

একমাত্র ফেসবুক প্ল্যাটফর্মেই CPIM নামে রাজনৈতিক দলটি বেঁচে রয়েছে। এটিকে কেড়ে নেবেন না। এমনভাবেই কটাক্ষ করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। খোদ ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গকে এই মর্মে অভিযোগ করে বলেন তৃণমূলের যুব নেতা। ফেসবুক চালু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে সমস্ত গ্রাহকের কাছে কার্যত ক্ষমা চেয়েছেন জুকারবার্গ। তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করে গ্রাহকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে যে সব ব্যবসায়ীদের ব্যবসা আমাদের উপর নির্ভরশীল, তাঁদের কাছে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। খুশির সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, সব কিছু এখন স্বাভাবিক আমরা এখন অনলাইন। এমন কঠিন সময়ে আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’ CEO আরও লেখেন, ‘ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার এখন অনলাইন। এই সমস্যার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জানি আপনি গোটা দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য আমাদের পরিষেবার উপর কতটা ভরসা করেন।’ তাঁর এই পোস্টেই কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। কেউ ক্ষোভ উগরে দেন তো কাউকে দেখা যায় নিছক মজা করে কমেন্ট করতে। তবে এতসব কমেন্টের মধ্যে নজর করেছে তৃণমূল নেতা দেবাংশুর পোস্ট। বাম কর্মী-সমর্থকদের কার্যত খোঁচা মেরেই এদিন তিনি লেখেন, ‘ভাগ্যিস ফিরিয়ে দিয়েছেন দাদাভাই! আপনার এই প্ল্যাটফর্মেই একমাত্র আমাদের রাজ্যের CPIM নামে একটি পলিটিক্যাল পার্টি বেঁচে আছে। সেটুকু ছিনিয়ে নেওয়ার পর নির্দয় আপনি নন বলেই আমার বিশ্বাস ছিল।’

ফেসবুক বিভ্রাট

সোমবার রাত ৯টার পর থেকে আচমকাই স্তব্ধ হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে। প্রায় গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি গ্রাহক এই সাইটগুলি আর ব্যবহার করতে পারছিলেন না। ভারতীয় সময় ভোর চারটের পর থেকে একে একে পরিষেবা স্বাভাবিক হতে শুরু করে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টার। স্বাভাবিক হলেও প্রথম দিকে অ্যাপের ফিচারগুলি কাজ করছিল না পরে ধীরে ধীরে সে সমস্যাও ঠিক হয়ে যায়।

‘বিপ্লব’ ফেসবুকে- ‘শূন্য’ ভোটবাক্সে

১৯৭৭ সালের পর থেকে বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে খারাপ ফল করেন সেলিম-বিমানরা। পাকা চুলের বদনাম দেহ থেকে ঝেড়ে ফেলতে এবারের নির্বাচনে নজিরবিহীনভাবে যুবদের জায়গা দিয়েছিলেন আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব। কিন্তু, সেই ফর্মুলাও কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায়। তাই, ভোটের ঝুলিতে ‘শূন্য’ অঙ্ক নিয়ে মুখ ব্যাজার করে থাকতে হয় ৩৪ বছর সরকারে থাকা এই দলকে। দরকারে পেলেও বাংলার মানুষ যে তাঁদের আর সরকারে চায় না, তা হারে হারে স্পষ্ট হয়ে যায় ২১-এর ফলাফলে। ৭ শতাংশের কলঙ্ক মুছতে বিধানসভা নির্বাচনে কোমর বেঁধে নেমেছিল আলিমুদ্দিন। প্রচার কৌশল হোক কিংবা যুব প্রজন্মকে ধরতে টুম্পা সোনার প্যারোডি। সব হাতিয়ারই শেষ পর্যন্ত ভোঁতা হয়ে গিয়েছে বামেদের। আসন বাড়ানো তো দুর অস্ত, কোনওরকমে টেনেটুনে ৫ শতাংশ ভোটে পৌঁছতে পেরেছে বামফ্রন্ট। ভবানীপুর উপ নির্বাচনেও ধরাশয়ী হয়েছে বামেরা। অথচ তাদের ফেসবুক পোস্টে প্রতিনিয়ত উঠে আসে লাল বিপ্লবের কাহিনী। তুলে ধরা হয় রেড ভলান্টিয়ার্সদের নিত্যদিনের কাজকর্মের বিবরণ। যা নিয়ে অবশ্য প্রশংসার থেকে কটাক্ষই বেশি উড়ে আসে ফেসবুকের দেওয়ালে। আর এবারে ফেসবুক বন্ধ হওয়ার পর টার্গেট হয়ে ওঠে বামেরা। একের পর এখ নেটিজেনের কমেন্ট ও পোস্টে বিদ্ধ হয় CPIM নেতারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#CPM, #Debangshu Bhattacharya

আরো দেখুন