রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পুজোর আগেই অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা

October 6, 2021 | 2 min read

পুজোর মুখে রাজ্যবাসীকে উপহার। অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে এই প্রকল্পের টাকা। এখনও পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কিছু জেলার বাসিন্দাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বরাদ্দ অর্থ। পুজোর আগেই এই প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ অর্থ পাবেন বহু উপভোক্তা জানা গিয়েছে এমনটাই। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দফতর সূত্রে খবর, দ্রুত উপভোক্তারা যাতে এই টাকা পান সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গড়বেতা-১ ব্লকের BDO শেখ ওয়াসিম রেজা ‘এই সময় ডিজিটাল’-কে বলেন, ‘আমার ব্লকের একাধিক উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে।’ তবে রাজ্যের যে চার জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে সেখানে এখনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অর্থ পাবেন না সাধারণ মানুষ। তবে প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না কেউ, আশ্বাস দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং কোচবিহার অর্থাৎ যে চারটি জেলায় উপনির্বাচন রয়েছে সেই জেলাগুলি বাদ দিয়ে সমস্ত জেলাগুলিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আমরা দিয়ে দেব। অন্যান্য জেলাগুলি সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর, দুই মাসের টাকা একবারে পাবেন। যে চারটি জেলায় নির্বাচন রয়েছে তাদের মন খারাপ করার কোনও কারণ নেই। উপনির্বাচন হয়ে গেলেই তাঁরা এই অর্থ পেয়ে যাবেন। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের টাকা নভেম্বরে পেয়ে যাবেন। কেউ বঞ্চিত হবেন না।’

প্রসঙ্গত, শান্তিপুর, গোসাবা, দিনহাটা এবং খড়দা এই চারকেন্দ্রে উপনির্বাচন ৩০ অক্টোবর। ফলে নির্বাচনী বিধি মেনে এই জেলাগুলিতে এখনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এই জেলার মানুষরাও বঞ্চিত হবেন না, স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পরেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, রাজ্যের তপশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন এবং সাধারণ তালিকাভুক্ত মহিলারা পাবেন ৫০০ টাকা। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয় ‘ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। এক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। সরকারি চাকরিজীবী, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী, আয়কর রিটার্ন যাঁরা জমা দেন যাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই এবং যাঁরা সরকারি ভাতা পান , তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন না। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ব্যপক সাড়া পেয়েছে এই প্রকল্প।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Lakshmir Bhandar

আরো দেখুন