তর্পণের উদ্দেশ্যে এবার ৪০ হাজারের বেশি পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে
তর্পণের আগে গঙ্গাসাগরে ঢল নামল মানুষের। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি পুণ্যার্থী পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। ব্লক প্রশাসনের হিসেব বলছে, ৪০ হাজারের বেশি মানুষ মঙ্গলবার সমবেত হয়েছেন সাগরদ্বীপে। তাঁদের জন্য প্রশাসনিক স্তরে সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। যদিও এদিন লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া আসতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় পুণ্যার্থীদের। জানা গিয়েছে, দুপুর একটার পর থেকে ভেসেল চলাচল করতে পারেনি। ভাটা এবং অন্যান্য কারণে এই বিপত্তি হয়। যার ফলে জেটিঘাটে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সন্ধ্যা ছ’টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই পুণ্যার্থীদের ওপারে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সূত্রের খবর, দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পারাপার বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার লোক আটকে পড়েন এপারে। যাত্রীদের অনুপাতে ভেসেলের সংখ্যা কম। সেই কারণে একেকটি জলযানে গাদাগাদি করে মানুষজনকে তোলা হয়। কোনওভাবেই দূরত্ব বিধি বজায় রাখা যায়নি। রাত পর্যন্ত পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসা-যাওয়া করেছেন। করোনার প্রকোপ কিছুটা কম। আবার অনেকেরই টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই বাড়তি ভিড় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পুণ্যার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিডিও বলেন, থাকার জন্য জায়গা, পানীয় জল ইত্যাদি ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত দুই নম্বর এবং তিন নম্বর ঘাটে তর্পণ করতে পারবেন এই পুণ্যার্থীরা। ভোরের আলো ফোটার আগেই অনেকে সমুদ্রে নেমে যেতে পারেন, তাই সেখানে আলোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।