অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করতে নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ, নির্দেশ হাইকোর্টের
দুর্গাপুজো নিয়ে নতুন নির্দেশিকা কলকাতা হাইকোর্টের। আদালত জানিয়েছে, ‘ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলে, তবেই মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি দেওয়া যাবে। ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিলে, তবেই সিঁদুর খেলায় অংশগ্রহণ করা যাবে।’
হাইকোর্ট আরও বলেছে, ‘ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। বড় প্যান্ডেলে একসঙ্গে সর্বাধিক ৬০ জন থাকতে পারবেন। ছোট মণ্ডপে একসঙ্গে সর্বাধিক ১৫ জন থাকতে পারবেন। নামের তালিকা আগে থেকে প্রস্তুত করতে হবে। নিয়ম না মানলে পুজোর অনুমতি বাতিল করতে পারে পুলিশ।’
গত বছর, করোনা-পরিস্থিতিতে, রাজ্যের সর্বত্র পুজো-মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিধিনিষেধে সুফল মিলেছিল, এই দাবি করে এ বছর আদালতের দ্বারস্থ হন জনৈক অজয়কুমার দে। আগের বছরের নির্দেশ বহাল রাখার জন্য আদালতে আবেদন জানান তিনি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতিরা রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চান, গতবছর পুজোর সময় যে বিধিনিষেধ বহাল ছিল, তা এবছর বহাল রাখতে রাজ্যের কোনও আপত্তি আছে কি না? তখন রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তাদের কোনও আপত্তি নেই। এরপর হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, এবারও করোনা সংক্রান্ত গতবারের বিধিনিষেধ মেনেই পুজো হবে।
করোনা আবহে এবারও পুজো মণ্ডপে ঢোকা নিষেধ। ফলে রাস্তা থেকেই চলবে প্রতিমা দর্শন। তাই যানজট ও ভিড় নিয়ন্ত্রণকে মাথায় রেখে পুজোর আগে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে কলকাতা পুলিশও। আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে এই বৈঠকে যোগ দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র, অ্যাডিশনাল সিপি, জয়েন্ট সিপি, ডিসি, এসি পদমর্যাদার অফিসার, সব থানার আধিকারিক ও গোয়েন্দা বিভাগের অফিসার ছাড়ও ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের পদস্থ কর্তারা। পুজোর সময় যানজট ও ভিড় মোকাবিলায় কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।